এতে করে জটিল হয়ে উঠেছে সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা।
রিয়াদ মঙ্গলবার ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর প্রায় একমাসের বিমান হামলা বন্ধ করবে বলে ঘোষণা দেয়ার পর তেহরান এবং হোয়াইট হাউজ উভয়ই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানায়। নতুন করে শান্তি আলোচনা এবং জরুরি মানবিক ত্রাণ সরবরাহ শুরুরও ডাক আসে।
কিন্তু এর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দু-রাব্বু মনসুর হাদির অনুগত বাহিনীর সঙ্গে সাবেক ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ’র অনুগত হুতি বিদ্রোহীদের লড়াইয়ের খবর আসে।
বুধবার তুমুল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তিয়াজ শহরে একটি সেনাঘাঁটি দখল করে নেয় হুতিরা। এর পরপরই সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী হুতিদের ওপর ফের জঙ্গি বিমান থেকে বোমা হামলা শুরু করে বলে জানিয়েছে অধিবাসীরা।
দক্ষিণ ইয়েমেনজুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এবং বন্দরনগরী এডেনের অধিবাসীরা সেখানে প্রচণ্ড গোলা হামলা এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র হামলা চলার খবর দিয়েছে।
রিয়াদ মঙ্গলবার হুতিদের ওপর বিমান হামলা বন্ধের ঘোষণা দিলেও প্রয়োজনে হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও সতর্ক করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ১৯ মার্চ থেকে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলা, স্থলভাগের লড়াই এবং জিহাদি জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ৯৪৪ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪৮৭ জন আহত হয়েছে।