ভূমধ্যসাগরে আরেকটি নৌডুবি

অভিবাসী সঙ্কট নিয়ে ইইউ’র জরুরি বৈঠক চলার মাঝে ভূমধ্যসাগরে আরেকটি অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির খবর পাওয়া গেছে। গ্রিস উপকূলে রোডে দ্বীপের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

>>রয়টার্স
Published : 20 April 2015, 04:30 PM
Updated : 20 April 2015, 04:31 PM

গ্রিসের কোস্টগার্ড জানায়, সেখানে অন্তত তিন জন মারা গেছে এবং ৯০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গেছে, উত্তাল সমুদ্রে নৌকার ধ্বংসাবশেষ ধরে অনেকে কোন রকমে ভেসে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা তাদের পানি থেকে তুলছে।

গ্রিস কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত ৯০ জনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছি। এছাড়া তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”

নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন নারী ও একজন শিশু বলে জানান তিনি।

এর আগে ‘ইন্টারনেশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)জানিয়েছিল, তারা নতুন করে একটি নৌকাডুবির বিপদ সংকেত পেয়েছে। ডুবন্ত নৌকা থেকে একটি ফোনে তাদের ওই তথ্য জানানো হয়।

ওই ব্যক্তি ফোনে আইওএম কে জানান, অন্তত তিনটি নৌকা আন্তর্জাতিক জলসীমায় বিপদে পড়েছে। তিনি যে নৌকায় আছেন সেটায় তিনশ’র বেশি যাত্রী আছে, যেটা ডুবতে শুরু করেছে।

ওই ব্যক্তি অন্তত ২০ জন মারা যাওয়ার কথা বলেছিলেন।

ওদিকে রোববার ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের দক্ষিণে লিবিয়ার জলসীমায় ৭০০ জন অভিবাসীবাহী একটি মাছ ধরার নৌযান ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের মোট সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা স্মরণকালের সব ইতিহাসকে ছাড়িয়ে যাবে।

ডুবে যাওয়া ওই নৌযানটির যাত্রীরা পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বাণিজ্যিক জাহাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সবাই মিলে নৌযানটির একদিকে হুড়হুড়ি করে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌযানটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়।

দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশের একজন নাগরিক আইওএম কে একথা জানিয়েছেন। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, নৌযানটিতে ৯৫০ জন যাত্রী ছিল।

নৌযানটির ২৮ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া ২৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্ররিপ্রেক্ষিতে অভিবাসী সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার লুক্সেমবার্গে ইইউ ভূক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের বৈঠক করেছেন।

ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওল জেন্তিলনি বলেন, “ইউরোপের খ্যাতি এখন ঝুঁকির মুখে। আমি সপ্তাহের পর সপ্তাহ মাসের পর মাস বলে এসেছি অভিবাসী বিষয়ে ইউরোপ যথেষ্ট করছে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাস্তবতা আমাদের মুখে চপেটাঘাত করেছে।”