নৌডুবিতে চাপের মুখে ইইউ

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌডুবির ঘটনায় চাপে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2015, 02:05 PM
Updated : 20 April 2015, 02:05 PM

কথার চেয়ে আরো বেশি কাজ করে দেখানোর চাপের মুখে সোমবার লুক্সেমবার্গে জরুরি আলোচনায় বসেছেন ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের সঙ্কটে ব্যবস্থা নেয়ার ‘নৈতিক কর্তব্য’ ইউরোপের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইইউ এর বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান।

সোমবারের বৈঠকে  ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি  দিতে গিয়ে অভিবাসীদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে ।

অবৈধভাবে অভিবাসন অনুৎসাহিত করতে গত বছর ভূমধ্যসাগরে টহল এবং উদ্ধার তৎপরতা কমানোর যে সিদ্ধান্ত  ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়েছিল তা নতুন করে ভেবে দেখার জন্যও ইইউ নেতাদের ওপর চাপ বাড়ছে।

সমুদ্রপথে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বিষয়টি আরো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য একটি নতুন নীতি নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইউরোপীয় কর্মকর্তারা।

একের পর এক অভিবাসীবাহী নৌডুবির ঘটনায় ইউরোপের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে উল্লেখ করে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “ আমি কয়েক সপ্তাহ এবং কয়েকমাস ধরেই বলে আসছি যে ইউরোপের আরো বেশিকিছু করা দরকার। এখন দুর্ভাগ্যক্রমে সেই বাস্তবতাই আমাদের সামনে এসে পড়েছে।”

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেঞ্জি নৌডুবির এমন ঘটনা মহাদেশের জন্য ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং তা মোকাবেলায় ইউরোপে সংহতির অভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন।

রেঞ্জির সঙ্গে একমত পোষণ করেন ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের নেতারা।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ অভিযান এলাকায় ইউরোপের আরো বেশি জাহাজ ও বিমান মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

ভূমধ্যসাগরে প্রায় ৭০০ অভিবাসী নিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে বাংলাদেশী নাগরিকও ছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত নৌকাটির ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ২৪টি।

ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসা থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ও লিবিয়া উপকূল থেকে ২৭ কিলোমিটার উত্তরে জাহাজটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে লিবিয়ার উত্তরে ভূমধ্যসাগরে অপর একটি অভিবাসীবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়।