রোববার পোল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
গেল সপ্তাহের প্রথম দিকে এফবিআই প্রধান জেমস কোমি ওয়াশিংটনে প্রকাশ হওয়া এক নিবন্ধে ওই অভিযোগ তোলেন। এতে পোল্যান্ডজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যম ও রাজনীতিবিদরা কোমির অভিযোগের নিন্দা জানান।
পোল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছিলেন, ওই নিবন্ধের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে মন্ত্রণালয় ডেকে পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাতে পারে।
কোমি তার নিবন্ধে বলেছেন, “জার্মানি, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরিসহ
অন্যান্য অনেক জায়গায় খুনিরা এবং তাদের সহযোগীরা মন্দ কিছু করেনি বলে ভেতরে ভেতরে মনে করে তারা। তারা মনে মনে ভাবে, সঠিক কাজই হয়েছে, এমনটিই করা উচিত ছিল।”
পোল্যান্ড বলেছে, লেখার এই অংশটিতে নাৎসিদের ইউরোপীয় ইহুদি নিধনের সঙ্গে পোল্যান্ডকে ভুলভাবে জড়ানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে পোল্যান্ডে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত স্টিফেন মুল, কোমির মন্তব্যকে “অগ্রণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেছেন। বিষয়টির প্রতিবাদ করে কোমিকে তিনি একটি চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
পোল্যান্ডের ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুল জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে তিনি পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।