তুরিন শহরের ক্যাথেড্রালে রোববার থেকে ৪ দশমিক ৪ মিটার লম্বা এ লিনেন কাপড়ের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে, চলবে ২৪ জুন পর্যন্ত।
এটি দেখতে কোন ফি লাগবে না কিন্তু দেখতে হলে অবশ্যই অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এরই মধ্যে ১০ লাখ মানুষ অনলাইনে নিবন্ধন করেছে।
ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রায় সবারই বিশ্বাস এ কাপড়ের টুকরোটি যিশুখ্রিস্টের কাফনের কাপড়। এ কাপড়ে যে মুখের ছবি রয়েছে তা একজন ক্রুশবিদ্ধ লোকের মুখ আর এ মুখ যিশুখ্রিস্টের বলেই ধারণা অনেকর।
কিন্তু কাপড়ে মুখের ওই ছবি এলো কিভাবে তার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালিয়েও ব্যাখ্যা মেলেনি। দর্শনীয় এ কাপড়ের টুকরোটি রাখা ছিলো উত্তর ইতালির তুরিনের ‘ক্যাথেড্রাল অব সেইন্ট জন দ্য বাপ্টিষ্ট’ এর রয়াল চ্যাপেলে।
কার্বন টেষ্ট বলছে, এটি মধ্য যুগের। সংশয়বাদীদের ধারণা, এটি একটি মধ্যযুগীয় জালিয়াতি এবং ত্রয়োদশ শতক থেকে তা চলে আসছে। আর বিশ্বাসী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মোটেও জালিয়াতি নয়। বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক এখনো শেষ হয়নি।
কাপড়টির রঙ এবং সার্বিক অবস্থা ঠিকঠাক রাখার জন্য এটি খুব কমই জনস্মুখে প্রদর্শন করা হয়। ২০১০ সালে সর্বশেষ চাদরটি জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয়েছিল। সেবার ২৫ লাখ মানুষ এটি দেখতে এসেছিল।
এবারের প্রদর্শনীতে ২১ জুন এটি দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের।
তুরিনের প্রধান ধর্মযাজক সিজার নসিজলিয়া বলেন, “প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে… বাইবেলে যিশুখ্রিস্টের যন্ত্রণা ও মৃত্যুর যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা এ চাদরে খুব পরিষ্কার এবং সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।” সম্পূর্ন ছবিটি বাইবেলে বর্নিত যীশুর মৃত্যুর বর্নণার হুবহু প্রতিকৃতি যেন ।
“এটি বিশ্বাস করতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কারণ, এটি বিশ্বাস বা প্রার্থনার কোন বিষয় না। কিন্তু এটি বিশ্বাসী হতে সাহায্য করে।”
“এটি দেখতে বিশ্বাসীর পাশাপাশি অবিশ্বাসীরাও আসবে। এটি এমন একটি উপলক্ষ্য যা সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসবে।”
একটি বিশেষ বাক্সে করে প্রতি দিন ১২ ঘন্টার জন্য এটা জনসম্মুখে রাখা হবে।