জালালাবাদে হামলায় আইএস দায়ী : আফগান প্রেসিডেন্ট 

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট’কে (আইএস) দায়ী করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি।

>>রয়টার্স
Published : 19 April 2015, 05:39 AM
Updated : 19 April 2015, 09:31 AM

শনিবার একটি ব্যাংকের সামনে চালানো ওই বোমা হামলায় ৩৩ জন নিহত ও ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। সরকারি কর্মচারীরা বেতন তোলার জন্য ব্যাংকটিতে জড়ো হওয়ার পর হামলাটি চালানো হয়।

বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে প্রেসিডেন্ট গানি হামলার দায় সরাসরি আইএস’র উপর চাপিয়েছেন। এর আগে এক বিবৃতিতে তালেবান এ হামলার নিন্দা জানিয়ে তারা এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবী করেছে। 

গানির দাবী সত্য হলে এটি হবে আফগানিস্তানে আইএস’র চালানো প্রথম বড় ধরনের হামলা। এ হামলা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় গোষ্ঠীটির তৎপরতা বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য নজির। 

আগে একই ধরনের পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকবার ব্যাংকে হামলা চালিয়ে হামলাগুলোর দায়িত্ব স্বীকার করেছিল তালেবান। কিন্তু এবারের হামলার নিন্দা জানিয়ে একে “শয়তানের কাজ” বলে বর্ণনা করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তানের যে সব জঙ্গিরা আইএস’র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন তাদের সাবেক তালেবান জঙ্গি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা তালেবান নেতৃত্বের প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে আইএস’র দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়। 

আফগানিস্তানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান, উভয় দেশের আইএস’র পক্ষ থেকে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছেন পাকিস্তান তালেবানের সাবেক মুখপাত্র।

তবে এই মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি এবং আইএস’র সঙ্গে তার সম্পর্কটিও যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

শনিবারের হামলাটিকে “আত্মঘাতী” হামলা বলে দাবী করেছেন জালালাবাদের পুলিশ প্রধান ফজল আহমদ শেরজাদ। তিনি জানিয়েছে, আহতদের উদ্ধার করার জন্য লোকজন ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে দ্বিতীয় আরেকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটনো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের এই দাবীটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

দ্বিতীয় বোমাটি দূর-নিয়ন্ত্রিত বোমা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থলের কাছে আরেকটি বোমা পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।

গত দু্ই দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন বিরান এলাকায় বিভিন্ন ধারার ইসলামিক জঙ্গিরা তাদের অবস্থান সংহত করেছে, কিন্তু ইদানিং মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এইসব অঞ্চলের যুবক যোদ্ধাদের সমর্থন পেতে শুরু করেছে। সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেয়া আইএস’র তৎপরতায় প্রভাবিত হয়ে তাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন এসব উগ্রপন্থি তরুণরা।