তদন্তকারীরা বলছেন, শেলি জোন্স নামে ৪৫ বছর বয়সী ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত ওই নারী আল-খানসা ব্রিগাদেম সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বক্তব্য রাখছেন এমন একটি নতুন ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।
নারীদের এই সংগঠনটি আইএস প্রতিষ্ঠা করেছে বলে মিরর অনলাইন জানিয়েছে।
জোন্স আইএসে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে সিরিয়া পাড়ি জমান। তিনি ভোঁতা ছুরি দিয়ে খ্রিস্টানদের শিরশ্ছেদ করতে চান।
যুক্তরাজ্যে অনেক সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে জোন্সের বিরুদ্ধে পরোয়ানা রয়েছে। বর্তমানে তিনি সাকিনা হুসেইন নাম গ্রহণ করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘সন্ত্রাসী জাতি’ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে মুসলিমদের হত্যার ঘটনাই তাকে বিদ্রোহী করে তুলেছে।
২০১৩ সালে তিনি তার ১০ বছরের ছেলে জোজোকে নিয়ে সিরিয়া পাড়ি জমান। জোজোকে এখন হামজা বলে ডাকা হয়। সেখানে তিনি কম্পিউটার হ্যাকার ২০ বছর বয়সী জুনাইদ হুসেইনকে বিয়ে করেন।
জুনাইদ হুসেইন ইতোপূর্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির দায়ে জেল খেটেছিলেন।
এটি শেলি জোন্সের বিরুদ্ধে প্রথম আসল প্রমাণ যে, তিনি আল-খানসার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ে জড়িত রয়েছেন, মন্তব্য করেন একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
জোন্স ও জুনাইদ দম্পতি সিরিয়ার রাক্কা শহরে বাস করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই শহরেই নিয়মিতভাবে প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ ও ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়।