বিবিসি বলছে, কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাস পরই তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হল।
পুলিশ দাবি করেছে, মাসারাত তার অনুসারী-সমর্থকদের পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করার জন্য উৎসাহিত করছিলেন।
শুক্রবার শ্রীনগর শহরে তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১০ সালে কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে চার বছরের কারাবাস শেষে গেল মাসে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
২০১০ সালের ওই সহিংসতায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
ভারতশাসিত কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জোট হুরিয়াত কনফারেন্সের সদস্য কট্টরপন্থি নেতা মাসারাত।
তার মুক্তিতে ভারতের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পাটি (বিজেপি) প্রতিবাদ জানায়।
জন্মু ও কাশ্মিরে বিজেপি পিপলস ডেমক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সঙ্গে জোট বেধে ক্ষমতায় এসেছে।
কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মাদ সাইদ বলেছেন, এই রাজ্যে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরুর স্বার্থে তারদল বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি অভিযোগ করেছে, মুফতি মোহাম্মাদ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দলের (বিজেপি) নেতাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের একটি সমাবেশে জ্যেষ্ঠ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাইদ আলি শাহ গিলানিকে স্বাগত জানিয়ে মাসারাতের অনুসারী-সমর্থকেরা পাকিস্তানের পতাকা ওড়ায় এবং পাকিস্তানপন্থি স্লোগান দেয়।
গিলানি তিনমাস পর দিল্লি থেকে কাম্মিরে প্রত্যাবর্তন করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং মাসারাতের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভারতে পাকিস্তানের পতাকা আমরা সহ্য করবো না… এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছি আমরা।”