বুধবার ওয়াশিংটন সফররত ইরাকি প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “যত শিগগির সম্ভব এই সংঘাত বন্ধ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “ইয়েমেনে হামলা চালানো থেকে সৌদি আরবকে বিরত করা কঠিন হতে পারে।”
মঙ্গলবার আবাদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদিকে দেশত্যাগে বাধ্য করে রাজধানী সানাসহ প্রায় পুরো ইয়েমেন দখল করে নিয়েছে ইরানপন্থি শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা।
এই বিদ্রোহীদের দমন করতে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনে বিমান হামলা পরিচালনা করছে হাদিকে সমর্থন করা সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলো।
দেশ ত্যাগ করে সৌদি রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিয়েছেন হাদি।
ইয়েমেনে শান্তি স্থাপনে ইরানি প্রচেষ্টা সম্পর্কে আবাদি বলেন, “এই প্রশাসনের (ওবামা) সঙ্গে কথা বলে আমি যা বুঝেছি, সৌদিরা এই বিষয়ে আশাবাদী নয়। তারা এখন অস্ত্র-বিরতি চায় না।”
ওবামা তার উদ্বেগের সঙ্গে একমত হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রশাসন একমত হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “এটি (ইয়েমেনের লড়াই) পুরো অঞ্চলকে আরেকটি সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে। এই অঞ্চলে আর একটি সাম্প্রদায়িক লড়াই আমরা চাই না।”
ইরাক ও ইয়েমেন, উভয় জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র বেশ বেকায়দায় রয়েছে। ইরাকে সুন্নি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র আবাদির শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। এতে ইরাকে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদেরও সমর্থনে বাধ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
অপরদিকে ইয়েমেনে ইরানসমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান মিত্র সুন্নি সৌদি আরবকে সমর্থন দিচ্ছে। মিত্র সৌদিদের ব্যাপক গোয়েন্দা সহযোগিতা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
কিছুটা অস্বস্থির সঙ্গে আবাদি যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বৈত অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন।