‘ইয়ারমুক শিবির থেকে সরেছে আইএস, রয়েছে নুসরা’

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে অবস্থিত ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ইয়ারমুক থেকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের হটিয়ে দেয়ার পর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যোদ্ধারা প্রায় সবাই চলে গেছেন। কিন্তু নুসরা ফ্রন্টের যোদ্ধারা শিবিরে রয়ে গেছেন। 

রয়টার্স
Published : 16 April 2015, 09:31 AM
Updated : 16 April 2015, 09:31 AM

বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন ইয়ারমুকের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। 
 
আইএস ছেড়ে যাওয়ায় আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত নুসরা ফ্রন্ট এখন শিবিরটির ভিতরে অবস্থান নেয়া প্রধান বাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। 
 
সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইএস’র শত শত যোদ্ধা ইয়ারমুক ছেড়ে তাদের নিকটবর্তী শক্তিকেন্দ্র হাজরে আল আসওয়াদে ফিরে গেছেন। চলতি মাসের প্রথম দিকে এই শক্তিকেন্দ্রটি থেকেই তারা ইয়ামুক শিবির আক্রমণ করেছিলেন। 
 
ইয়ারমুকের বাসিন্দা আবু আহমদ হাওয়ারি বলেছেন, “তাদের বিরোধীদের সঙ্গে তাদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর তারা প্রায় সবাই শিবির ছেড়ে চলে যান।”
 
শিবির দখলের উদ্দেশ্যের পাশাপাশি আইএস তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী হামসের সঙ্গে সম্পর্কিত আকনাফ আল মাকদিসকে পরাজিত করার দাবি করেছে। আদর্শগতভাবে আকনাফ ও আইএস পরস্পরের বিরোধী। 
 
ইয়রামুকে আইএস আসায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ক্ষমতা কেন্দ্রের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে এসে পড়েছিল জিহাদি গোষ্ঠীটি। 
 
গোষ্ঠীটির কিছু যোদ্ধা এখনও আকনাফের অবশিষ্ট যোদ্ধাদের সঙ্গে শিবিরের উত্তরদিকের প্রবেশ পথে লড়াইরত আছে বলে জানিয়েছেন শিবিরটির দুই বাসিন্দা। 
 
আইএস চলে যাওয়ায় নুসরা এখন ইয়ারমুকে অবস্থান নেয়া সবচেয়ে বড় বাহিনী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। নুসরাই এখন শিবিরের প্রধান বাহিনী বলে স্বীকার করেছেন পিএলও’র দামেস্ক প্রতিনিধি আনওয়ার আব্দুল হাদি। 
 
তিনি বলেছেন, “আইএস আর নুসরা একই। তারা অবস্থান পরিবর্তন করছে।”
 
আইএস জঙ্গিদের নুসরা বাহিনী শিবিরে ডেকে এনেছে বলে অভিযোগ করেছে আকনাফ আল মাকদিস। নুসরা ও আইএস সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এখানে আকনাফকে হটাতে পরস্পর জোট বেঁধেছিল। দুটি জঙ্গিগোষ্ঠিই কঠোর আকনাফ বিরোধী। 
 
তবে আইএসের মতো নুসরা আকনাফের সঙ্গে সামরিক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নয়, আর ইয়ারমুকের সাম্প্রতিক লড়াইয়ের গোষ্ঠীটি অংশ নেয়নি বলে জানিয়েছেন শিবিরটির বাসিন্দারা। 
 
২০১১ সালে সিরীয় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে ১,৬০,০০০ ফিলিস্তিনি বসবাস করতো। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে শরণার্থীতে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনিরা ইয়ারমুক শিবিরটি গড়ে তুলেছিলেন।