নিহত সেনাদের প্রত্যেকের পরিচয় আলাদাভাবে শনাক্ত করে সমাহিত করার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
১৯৪১ সালে জাপানি টরপেডোর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস ওকলাহোমা’ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জাহাজটির প্রায় ৪শ’ নৌ ও মেরিন সেনা নিহত হয়। তাদের মৃতদেহ একসঙ্গে সমাহিত করা হয় হাওয়াই দ্বীপে।
এখন নিহত প্রত্যেক সেনাকেই শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই নিহত সেনাদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
জাপান যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে হামলা চালানোর পরই ওয়াশিংটন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর ওকলাহোমাসহ যুক্তরাষ্ট্রের আরো বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ জাপানের সাবমেরিন ও বিমান হামলার শিকার হয়। ওই ঘটনায় ২,৪০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
ওই সময় ওকলাহোমা জাহাজে ৪২৯ জন নাবিক ও সেনা নিহত হয় যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাকিদের ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে হাওয়াই দ্বীপের জাতীয় সমাধিস্থলে সমাহিত করা হয়েছে।
টম গ্রেই নামের এক ব্যক্তি বলেন, তার পরিবার ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার আত্মীয় এডউইন হপকিন্সের মৃহদেহের যথাযথ সৎকারের অপেক্ষা করছেন।
তিনি বলেন, “একটি ছেলে যে মাত্র ১৯ বছর বয়সে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে এবং একটি গণকবরে ‘অজ্ঞাত’ পরিচয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত আছে, আমর মনে হয় এটা ঠিক না।”