এই ঘটনা ঘটার সময় কেউ পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগও করেননি।
মার্চে ঘটিত এ ঘটনার এক মাস পর এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ফ্লোরিডার পাশের রাজ্য অ্যালবামা থেকে দুজন কলেজ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ফেইসবুকে পোস্ট করা এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের কথা ঘোষণার সময় ঘটনাটিকে “বন্য পশুর শিকারের” সঙ্গে তুলনা করেছেন ফ্লোরিডার এক কর্মকর্তা।
অন্য একটি গুলিবর্ষণ ঘটনার তদন্ত করতে যেয়ে হঠাৎ করেই এ ঘটনার ভিডিও তাদের হাতে আসে বলে জানিয়েছে ফ্লোরিডার কর্তৃপক্ষ। ওই ভিডিওতে দেখা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৃতীয় আরেকজনকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
শেরিফ ম্যাকেইথেন বলেছেন, “দিনের বেলা শত শত লোকের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কী ঘটছে তারা দেখেছেন ও শুনেছেন, কিন্তু কেউ ধর্ষিত হচ্ছে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার চেয়ে তারা তাদের পানীয় যেন না পড়ে যায়, তাই নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন।”
এই ঘটনা নিয়ে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রভাবশালী গণমাধ্যমে কোনো সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়নি বা কোনো প্রতিবাদও অনুষ্ঠিত হয়নি।
ফ্লোরিডার পানামা সিটি সৈকতে ১০ মার্চের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। তখন কলেজগুলোতে শিক্ষাবর্ষের মাঝ পর্যায়ের গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছিল।
ম্যাকেইথেন জানিয়েছেন, অ্যালবামার ট্রয়ের পুলিশ একটি গুলিবর্ষণের ঘটনার তদন্ত করতে যেয়ে ওই ভিডিওটি হাতে পায়, ২ এপ্রিল তাদের দলগত ধর্ষণের ভিডিওটির বিষয়ে জানিয়ে সতর্ক করা হয়।
ফ্লোরিডার কর্তৃপক্ষ এরপর ধর্ষিত নারীকে খুঁজে বের করে তার বক্তব্য নেয়। সেই নারীর অভিযোগ, মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন করে তার সঙ্গে ওই অপরাধ করা হয়েছে। এরপর ঘটনার তদন্ত করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই সৈকতে এ ধরনের আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্থানীয় পানামা সিটি নিউজ হেরাল্ড সংবাদপত্র।
ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ না করা যুক্তরাষ্ট্রে অস্বাভাবিক কোনো বিষয় না। হোয়াইট হাউসের টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে, ধর্ষনের ঘটনার মুখোমুখি হওয়া নারীরা বিচ্ছিন্নতায় আক্রান্ত হয়ে, লজ্জায় বা দোষী হওয়ার ভয়ে ঘটনার বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকে।
এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলা যৌন হয়রানির ঘটনা ফের সামনে চলে এসেছে।
গত বছর হোয়াইট হাউসের এক টাস্ক ফোর্স বলেছিল, “যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কলেজের প্রতি পাঁচজন ছাত্রীর একজন যৌন হয়রানির শিকার হয়।”