বিবিসি বলছে, সেনা আইন জারি করার ১০ মাস পর এই ঘোষণা দেয়া হল।
২০১৪ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনা বাহিনী। ওই সময়ে থেকেই দেশটি সামরিক আইনের অধীনে রয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, নতুন নিরাপত্তা আইন জারি করা হবে।
তবে নতুন আইন জারির বিষয়টি ইতোমধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এরফলে সেনাবাহিনীকে আরো বেশি ক্ষমতা দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি রয়টার্সের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, নতুন আইনের মাধ্যমে মৌলিক অধিকারগুলো খর্ব করা ঠিক হবে না।
ওই প্রতিনিধি আরো বলেন, যেকোনো নতুন আইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অনুমোদনের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের সেনা আদালতে বিচার ও অভিযোগ ছাড়া কাউকে আটক বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিৎ।
থাই সেনাশাসকের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের ওপর কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ আরোপের অভিযোগ রয়েছে।
প্রায়ুথ বলেছেন, নতুন সংবিধানের ৪৪ ধারা অনুযায়ী নতুন আইন জারি করা হবে। সংবিধানের ওই ধারার বিরুদ্ধে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।
৪৪ ধারা অনুযায়ী জাতীয় ও রাজার বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী আদেশে দমনাভিযান চালানোর নির্দেশ দিতে পারবেন।
প্রায়ুথ বলেন, নতুন আইনের অধীনে সেনা বাহিনী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উদ্ভব হলে অভিযোগ ছাড়াই যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় শান্তি ও শৃঙ্খলা পরিষদ নামে পরিচিত থাইল্যান্ডের সেনা সরকার ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ গণতন্ত্র পুনর্বহালের অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু সেনা সরকার ধারাবাহিকভাবে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন চালানোসহ সরকারের সমালোচকদের কারাগারে ভরছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমেও সেন্সরশিপ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১৪ সালের মে মাসে দেশটিতে কয়েক মাসের গণবিক্ষোভকে পুঁজি করে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে থাই সামরিক বাহিনী।