মঙ্গলবারের এ ঘটনার সময় ওই কৌঁসুলিও নিহত হয়েছেন বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি।
বিশেষ বাহিনী আদালতে অভিযানে শুরু করার পর আদালত ভবন থেকে গুলির শব্দ ও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
২০১৩ সালে দেশটির সরকারবিরোধী বিক্ষোভকালে পুলিশের নিক্ষিপ্ত কাঁদুনে গ্যাসের ক্যানিস্টারের আঘাতে বের্কিন ইলভান নামের এক বালক নিহত হয়েছিল। ওই ঘটনার তদন্তকারী দলের প্রধান মেহমেত সেলিম কিরাজকে জিম্মি করা হয়েছিল।
এই জিম্মি সঙ্কটের পেছনে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি মার্ক্সবাদী গোষ্ঠী জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। অনলাইনে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই গোষ্ঠীর দাবী পূরণ না হলে জিম্মি কৌঁসুলিকে হত্যা করা হবে।
ইলভান নিহতের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য জড়িত দাবি করে তাদের নাম প্রকাশ করার শর্ত দিয়েছিল জিম্মিকারীরা।
ইস্তাম্বুলের পুলিশ প্রধান সেলামি আলতুনোক জানিয়েছেন, জিম্মিকারী বন্দুকধারীদের সঙ্গে ছয় ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেছিল পুলিশ, কিন্তু জিম্মি থাকা কৌঁসুলির দপ্তর থেকে ‘গুলির শব্দ শোনা যাওয়ার পর’ সেখানে অভিযান চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
অভিযান চলাকালে ওই দুই বন্দুকধারী নিহত হন আর কৌঁসুলি কিরাজ মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে হাসপাতালে কিরাজের মৃত্যু হয়।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেছেন, আদালতে প্রবেশ করার সময় হামলাকারীরা আইনজীবীর ছদ্মবেশ গ্রহণ করেছিল।
অভিযানের আগে আদালত ভবন খালি করে তারপর সেখানে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
জিম্মি সঙ্কট শুরু হওয়ার পর বন্দুকধারীরা সেলিম কিরাজের মাথায় পিস্তল ধরে রাখার ছবি প্রকাশ করে।
নিরপাত্তাজনিত কারণে টেলিভিশনে ঘটনার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় তুর্কি সরকার।