জার্মানির রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা লুফথানসা গত সপ্তাহে লুবিৎজের প্রশিক্ষণে ছেদ পড়ার কথা জানিয়েছিল।
আর এখন এক বিবৃতিতে লুফথানসা বলছে, তারা এ সংক্রান্ত কাগজপত্র কৌঁসুলিদের দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালের কিছু ই-মেইলও।
২৪ মার্চ স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ যাওয়ার পথে ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয় জার্মানউইংস এর বিমান। বিমানের ১৫০ জন আরোহীর সবাই মারা গেছে।
কো-পাইলট লুবিৎজ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ধ্বংস করেছেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। অন্তত ফ্লাইট রেকর্ডার থেকে সেরকম তথ্যই পাওয়া গেছে।
লুফথানসা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এর আগে বলেছিলেন, কো-পাইলট বিমান চালানোর জন্য শতভাগ উপযুক্ত ছিলেন এবং কোনো কারণে তিনি বিমানটি ধ্বংস করতে পারেন এমন কোনো কিছু কোম্পানির জানা ছিল না।
কিন্তু এখন লুফথানসাই বলছে, লুবিৎজ ফ্লাইট নির্দেশনাদানকারী কর্মকর্তাদেরকে অতীতে তার ‘মারাত্মক বিষণ্নতায়’ ভোগার বিষয়টি অবহিত করেছিলেন।
প্রশিক্ষণে ছেদ পড়ার পর ২০০৯ সালে লুবিৎজ আবার প্রশিক্ষণ ক্লাসে ফিরে আসেন এবং সব পরীক্ষাতেই উৎরে যান বলে জানিয়েছে কোম্পানি। প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৩ সালে তিনি আবারো লুফথানসার জার্মানউইংসে কাজ শুরু করেন।
জার্মান কৌঁসুলিরা সোমবার বলেছিলেন, বিমান চালানোর অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) পাওয়ার আগে আত্মহত্যার প্রবণতার কারণে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল লুবিৎজকে। কিছু কিছু গণমাধ্যমে লুবিৎজেরদৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকার খবরও প্রকাশ পেয়েছে। তবে এসংক্রান্ত কোন প্রমাণও পাওয়া যায়নি।