সোমবার হামলাটি চালানো হয়েছে বলে দেশটিতে মানবিক ত্রাণকাজে নিয়োজিত কর্মীরা জানিয়েছেন।
হুতিদের নিয়ন্ত্রণাধীন ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, সৌদি জঙ্গিবিমান হারাদা শিবিরে হামলা চালিয়েছে। হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে সাবা।
সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ অ্যাসেরি বলেছেন, “এমন হতে পারে, হয়তো গুলিবর্ষণের জবাব দিয়েছে যুদ্ধবিমানগুলো। তবে ওটি কোনো শরণার্থী শিবির ছিল কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই আমরা।”
“ইয়েমেনের সরকারি সংস্থাগুলোকে ঘটনাটি নিশ্চিত করতে বলবো আমরা,” বলেছেন তিনি।
এর আগে হারাদা শিবিরে বিস্ফোরণের জন্য হুতিদের গোলাবর্ষণকে দায়ী করে ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াধ ইয়াসিন।
‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’ প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৪৫ জন বলে জানিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সংস্থাটি ৪০ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে এক ত্রাণকর্মী জানিয়েছিলেন, হারাদা শিবিরের কাছের মাজরাক শিবিরের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা হুতি যোদ্ধাদের একটি ট্রাক বিমান হামলার শিকার হয়, এতে শিবিরের বাসিন্দা, রক্ষী ও বেশ কয়েকজন যোদ্ধা নিহত হন।
চিকিৎসা ত্রাণ সংস্থা মেডেসিনস স্যানস ফ্রন্টিয়ারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, হাসপাতালে আনার পথেই ২৯ জন মারা যান।
২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের অধিকাংশ স্থান দখল করে নেয়া শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সুন্নি আরব দেশগুলোর জোট। তারা ক্ষমতাচ্যুত সুন্নি প্রেসিডেন্ট হাদিকে ইয়েমেনের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে চান।