‘আত্মহত্যার প্রবণতা’ ছিল সেই কো-পাইলটের

ফ্রান্সে জার্মানউইংসের বিধ্বস্ত বিমানের কো-পাইলট আন্দ্রিয়েজ লুবিৎজকে বিমান চালানোর অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) পাওয়ার আগে আত্মহত্যার প্রবণতার কারণে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। বলছেন তদন্তকারীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 04:59 PM
Updated : 30 March 2015, 04:59 PM

তবে পরে লুবিৎজকে আর এ ধরনের চিকিৎসা নিতে হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।

লুবিৎজ ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি ধ্বংস করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানের ১৫০ জন আরোহীর সবাই মারা গেছে।

ডুয়েসেলডর্ফের পাবলিক প্রসিকিউটর ক্রিস্টোফ কুম্পা বলেন, “আমরা এমন কিছু কাগজ হাতে পেয়েছি যা থেকে মনে হচ্ছে, পাইলট হওয়ার আগে লুবিৎজ আত্মহনন প্রবণতার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে কিছুদিন চিকিৎসা নিয়েছিলেন।”

“তবে লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকে ইদানিংকাল পর্যন্ত লুবিৎজ ডাক্তারের কাছে গেলেও তাকে আর ওই ধরনের কোনো চিকিৎসা নিতে হয়নি।”

কিন্তু লুবিৎজ আগে থেকে কোনো কিছু ঘটানোর কথা বলে-কয়ে বিমান ধ্বংস করেছিলেন কিনা বা তার উদ্দেশ্য কি ছিল সে ব্যাপরে তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কুম্পা বলেন, “কো-পাইলট কি করবেন তা আগেই বলেছিলেন এবং তা করেছেন বলে আমরা যে ধারণা করছি, তার কোন প্রমাণ এখনো নেই।”

“আমরা তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা কাজের জায়গায় তল্লাশি করে এমন কিছু পাইনি যা থেকে তার মনোভাব সম্পর্কে সামান্যতম ইঙ্গিত পেতে পারি।”

কিছু কিছু গণমাধ্যমে লুবিৎজের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকার খবরও প্রকাশ পেয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কোন প্রমাণও পাওয়া যায়নি বলে জানান কুম্পা।

বিধ্বস্ত বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার খুঁজে পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার থেকেই বিমানের উচ্চতা, গতি ও অভিমুখ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।

লুফথানসার চেয়ারম্যান কাই ক্রাৎকি সোমবার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, খুব সম্ভবত ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডারটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে এবং কোন ধরনের সঙ্কেত পাঠাচ্ছে না।

ওদিকে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এখন হেলিকপ্টারে করে দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তদন্তকারীরা পায়ে হেঁটে সেখানে যাচ্ছেন। ফলে উদ্ধার কাজের গতি ধীর হয়ে গেছে।

এখন পর্যন্ত যে দেহাবশেষ পাওয়া গেছে সেখান থেকে ৮০ জনের ডিএনএ সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।