সোমবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে উত্তরপশ্চিম ভারতের কাশ্মির রাজ্যে ১০ জন নিহত হয়েছেন।
ভোরে ঘুমিয়ে থাকার সময় ধসে পড়া মাটি তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়, জানিয়েছে পুলিশ।
রাজ্যের প্রধান শহর শ্রীনগর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশী মুশতাক আহমদ জানিয়েছেন, নিহতরা তিনটি পরিবারের সদস্য, তারা একটি বড় বাড়িতে বসবাস করতেন।
তিনি বলেন, “এটি বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা। পুরো বাড়িটি মাটির নীচে চাপা পড়ে গেছে। কাউকে জীবিত পাওয়ার আশা খুব কম।”
এ সময় ঘটনাস্থলে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জীবিত কাউকে পাওয়ার আশায় মাটি সরিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ফয়েজ আহমদ লোন জানিয়েছেন, লেদহান গ্রামের একটি বাড়িতে ১০ জন মাটি চাপা পড়েছেন। মাটিচাপা পড়া মানুষের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মাত্র সাতমাস আগে ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির পর ফের ভারী বৃষ্টিপাতে কাশ্মিরের প্রধান নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে বন্যার আশঙ্কায় কয়েকশত মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন কাশ্মিরের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে, তবে এরপর থেকে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কমে যাবে।
চলতি মাসে কাশ্মির রাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ জেলায় স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সোমবার কাশ্মিরের রাজ্য সরকার বন্যা সতর্কতা জারি করে ঝিলম নদীর কাছের এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এসব লোকজনের জন্য ত্রাস শিবির স্থাপন করেছে সরকার।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ভারতে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা চরম আকার ধারণ করছে, গত ৫০ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে ভারতের ট্রপিক্যাল মিটিরিওলজি ইনিস্টিটিউট।