মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, “একটি যৌথ আরব সেনাবাহিনী গঠনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদনের বিষয়ে একমত হয়েছেন আরব নেতারা।”
ইয়েমেনের সঙ্কট সমাধান এবং ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার অনেকাংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনার জন্য মিশরে বৈঠক করছেন আরব লীগের নেতারা।
সিসি মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হুমকিকে ‘নজিরবিহীন’ বলে বর্ণনা করেন।
যৌথ আরব সামরিক বাহিনী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী হিসেবে কাজ করবে। আরব লীগের ২২ সদস্য রাষ্ট্রের সবাই প্রস্তাবিত বাহিনীতে যোগ দেবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মিশরের কর্মকর্তারা জানান, এই বাহিনীতে ৪০ হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা ছাড়াও যুদ্ধ বিমান ও নৌ-যান থাকবে।
যদিও আরব লীগের নেতারা দীর্ঘদিন ধরে একটি যৌথ বাহিনী গঠনের বিষয়ে আলোচনা করলেও এখনো তা বাস্তব রূপ পায়নি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ ধরনের একটি বাহিনী গড়ে তুলতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে।
ইয়েমেন সঙ্কট সমাধানে যৌথ বাহিনী ব্যবহার করা হবে কিনা সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
আরব লীগের প্রধান নাবিল আল-আরাবি বলেন, “ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা যতদিন পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে তাদের অস্ত্র জমা না দেবে ততদিন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্বে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে।”
“ইয়েমেন খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশটিতে হুতিদের আগ্রাসন রোধ করে শৃঙ্খলা পুনপ্রতিষ্ঠিত করার সব ধরণের শান্তিপূর্ণ উপায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন আরব ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কার্যকর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন ১০টি দেশের জোট বাহিনী ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের দমনে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
সৌদি সরকারের অভিযোগ ইরান হুতি বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছে। এর আগে শনিবার প্রায় একই ধরনের অভিযোগ তুলে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি বলেন, “হুতিরা ইরানের হাতের পুতুল।”