১৯৯০ সাল থেকে বাকশক্তিরহিত এই কবি ২০১১ সালে পেয়েছিলেন সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার।
তার প্রকাশক বোনেয়ারর্সের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্টকহোমে বৃহস্পতিবার সাময়িক অসুস্থতায় ভুগে তিনি মারা যান।
১৯৯০ সালে স্ট্রোকের কারণে বাকশক্তি হারিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বের ৫০টিরও বেশি ভাষায় ট্রান্সট্রোমারের কবিতা অনূদিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হলেও ২০১১ সালে তিনি এই পুরস্কার জয় করেন।
১৯৭৪ সালে লেখক এইভিন্দ জনসন ও হ্যারি মার্টিনসন যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনিই প্র্রথম কোনো সুইডিশ নাগরিক যিনি নোবেল পুরস্কার পান।
ট্রান্সট্রোমার চলে গেলেও তার স্ত্রী মনিকা এবং দুই মেয়ে ইমা ও পলা রয়েছেন।
ট্রান্সট্রোমার ১৯৫০ সাল থেকেই সুইডিশ সাহিত্যে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। স্ক্যান্ডিনেভীয় কবিদের মধ্যে ইংরেজি ভাষাভাষীদের মধ্যে সম্ভবত তিনিউ সবচেয়ে পরিচিত কবি। তার কবিতায় পরাবাস্তববাদী চিত্র প্রভাববিস্তারী।
১৯৩১ সালের ১৫ এপ্রিল টমাস ট্রান্সট্রোমার স্টকহোমে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন পেশায় একজন সাংবাদিক আর মা ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর বাবাকে আর তেমন দেখা হয়নি তার।
স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ট্রান্সট্রোমার কবিতা লিখতে শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি স্টকহোম ইউনিভার্সিটি থেকে মনোবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬০ সালে তিনি কিশোর অপরাধীদের জন্য ইনস্টিটিউট রক্সটানায় মনোস্তত্ববিদ হিসেবে কাজ শুরু করেন।
২৩ বছর বয়সে কবি হিসেবে ট্রান্সট্রোমারের পরিচিতি পাওয়া শুরু করেন।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাবার আগে ট্রান্সট্রোমার ১৯৯০ সালে পেয়েছেন নস্টাড ইন্টারন্যাশনাল সাহিত্য আওয়ার্ড, কবিতার জন্য বোনার অ্যাওয়ার্ড, জার্মানির পেত্রার্ক পুরস্কার, বেলম্যান পুরস্কার, সুইডিশ একাডেমির নর্ডিক পুরস্কার, এবং অগাস্ট প্রাইজ।