জানুয়ারিতে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখলের পর দেশটির কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। বর্তমানে ইয়েমেন গৃহযুদ্ধের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে।
হাউথিদের আগ্রাসণ রুখতে বুধবার রাত থেকে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় সমর্থন জানিয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়েমেনে ‘স্থিতিশীল ও নিরাপদ’ পরিস্থিতি ফিরে না আসা পর্যন্ত সেখানে সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরব লিগের সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে মিশরে অবস্থান করছেন হাদি।
দুর্নীতির অভিযোগে হাউথিরা হাদি সরকারের পতন চায়। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলাকে ‘অন্যায্য আগ্রাসন’ হিসেবে বর্ণনা করে তারা আত্মসমর্পণ করবেন না বলে জানিয়েছেন হাউথি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি।
ইরান হাউথিদের ওপর বিমান হামলার কড়া সমালোচনা করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ শুক্রবার বলেন, “তাদের এসব বন্ধ করা উচিত।”
এদিকে টানা তৃতীয় রাতেও জোট বাহিনী বিমান হামলায় চালানোর পর জাতিসংঘ শনিবার ইয়েমেন থেকে তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে।
সৌদি টেলিভিশন জানায়, এডেন থেকে কয়েক ডজন কূটনীতিক জাহাজে করে জেদ্দার রেড সি বন্দরের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।
সানা দখলের পর হাউথি যোদ্ধারা প্রেসিডেন্ট হাদিকে বেশ কয়েকদিন গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। গত মাসে সানা থেকে পালিয়ে এডেনে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাদি।
বুধবার হুতিরা এডেনের নিকটবর্তী একটি বিমান ঘাঁটি দখল করে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে এডেন ছাড়েন হাদি।