‘পরমাণু চুক্তির খুব কাছে ইরান ও বিশ্বশক্তি’

তেহরানের পরমাণু প্রকল্প বিষয়ে দুই বা তিন পাতার একটি সমঝোতায় ইরান ও বিশ্বশক্তি একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

>>রয়টার্স
Published : 28 March 2015, 06:09 AM
Updated : 28 March 2015, 06:25 AM

শুক্রবার ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সমঝোতায় উল্লেখিত শর্তগুলো ১২ বছর ধরে চলা তেহরানের পরমাণু অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার সূচনা করতে পারে। 
 
ইরানের সঙ্গে এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি বিশ্বশক্তি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছে। 
 
এই খসড়া সমঝোতার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং প্রধান বিষয়গুলোর বিস্তারিত নিয়ে এখনও তীব্র দরকষাকষি চলছে বলে জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে জড়িত পশ্চিমা ও ইরানি কর্মকর্তারা। 
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “পক্ষগুলো চূড়ান্ত পদক্ষেপের খুব, খুব কাছে আছে, সমঝোতা বা সই হয়ে যেতে পারে এবং তা মৌখিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।”
 
অন্য কর্মকর্তারাও প্রায় একই ধরনের কথা বললেও আলোচনার পরবর্তী দিনগুলোতে এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন। 
 
সুইজারল্যান্ডের লুসানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ চুক্তির রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে আলোচনারত আছেন। অন্যান্য বিশ্বশক্তিগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোববার লুসানে উপস্থিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 
 
দুই বা তিন পাতার এই সমঝোতা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে কীনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে এটি প্রকাশ করা হবে বলে জানিযেছেন দুই কর্মকর্তা।
খসড়া সমঝোতার কিছু অংশ গোপন রাখা হবে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা। 
 
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তি সম্ভব করার জন্য ইরানের কঠিন সিদ্ধান্তটি নেয়ার সময় এসে গেছে।

চূড়ান্ত সমঝোতা হলে, এই নথিটিই ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে ভবিষ্যৎ পরমাণু চুক্তির প্রধান দলিল হিসেবে কাজ করবে। 
 
এতে ইরান সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সেন্ট্রিফিউজ পরিচালনা করতে পারবে তার ধরন ও সংখ্যা, কী পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুদ রাখতে পারবে, কী  ধরনের পরমাণু গবেষণা ও উন্নয়ন করতে পারবে তা এবং ইরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকবে।