কো পাইলটই বিমানটি ‘ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন’

ফ্রান্সের আল্পসে বিধ্বস্ত হওয়া  জার্মানউইংসের বিমানের কো-পাইলটই উড়োজাহাজটি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 March 2015, 12:36 PM
Updated : 26 March 2015, 12:36 PM

ফ্রান্সের মার্সেই শহরের প্রসিকিউটর ব্রিস রবিনকে উদ্ধৃত করে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,জার্মানউইংসের ওই বিমানের ‘ব্ল্যাকবক্স’ এর ভয়েস রেকর্ডারে তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার সময় কো-পাইলট আন্দ্রেয়াস লুবিৎজ একাই ককপিটে ছিলেন।
 
রবিন বলেন,বিমানের ককপিট থেকে পাইলট বেরিয়ে যাওয়ার পর কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান নিচের দিকে নামাতে থাকেন। তিনি ককপিটের দরজা আটকে দেওয়ায় পাইলট ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না। ককপিটে তখন চলছিল পিনপতন নিরবতা।

২৮ বছর বয়সী কো-পাইলট লুবিৎজ বিমান ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক আগে যাত্রীদের চিৎকার শোনা গেছে ‘ব্ল্যাকবক্স’ এর ভয়েস রেকর্ডারে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অনুসন্ধানের এই তথ্য তুলে ধরেন রবিন, যা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
  
তিনি বলেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

“আমরা পাইলটকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য কো-পাইলটকে অনুরোধ জানাতে শুনেছি। আর ঠিক সে সময়ই একটি আসন পেছনের দিকে সরানোর এবং দরজা বন্ধ করার শব্দ পাওয়া গেছে।”
 
পাইলট সে সময় টয়লেটে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা।  

“ওই মুহূর্তে কো-পাইলট নিজে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। তিনি একা ছিলেন। আর তখনই কো- পাইলট ফ্লাইট মনিটরিং সিস্টেমের বাটন চাপেন, যা দিয়ে বিমান কতোটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায়।”

এ থেকে তদন্তকারীদের ধারণা হয়, কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি বিধ্বস্ত করেছেন।

“কী কারণে তিনি এটা করেছেন তা আমরা এখনো জানিনা। তবে আমাদের ধারণা, বিমানটি ধ্বংস করাই ছিল তার উদ্দেশ্য।”

কো-পাইলটের সঙ্গে উগ্রবাদী বা সন্ত্রাসীদের কোনো যোগসাজশের তথ্য এখন পর্যন্ত  পাননি তদন্তকারীরা। তবে জার্মান কর্তৃপক্ষ তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আরও খোঁজ খবর নেবে বলে রবিন জানান।

স্পেনের বার্সেলোনা থেকে ১৫০ জন আরোহী নিয়ে জার্মানির ডুসেলডর্ফ যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের আল্পস পর্বতে বিধ্বস্ত হয় জার্মানউইংসের এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি। 

বিমানের বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন জার্মানি ও স্পেনের নাগরিক। আর ১২ জন ছিলেন ফ্রান্সের।