বুধবার সৌদি আরবসহ সহযোগী ১০টি দেশের এক জোটবাহিনী ইয়েমেনের শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর এডেনে আশ্রয়গ্রহণকারী রাজধানী থেকে বিতারিত যুক্তরাষ্ট্রপন্থি সুন্নি প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদিকে রক্ষার লক্ষ্যে এ হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটিতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আব্দেল আল-জুবেইর জানিয়েছেন, এই সামরিক অভিযানে সৌদি আরবের সঙ্গে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোও অংশগ্রহণ করেছে।
“ইয়েমেনের বৈধ প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে রক্ষার জন্য” এ হামলা চালানো হয় বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে এডেন শহরের কোথায় হাদি অবস্থান করছেন সে বিষয়ে কোনো কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগীতা করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এই সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ক্রমেই জটিল হতে থাকা ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে সরাসির জড়িয়ে পড়ল সৌদি আরব। এর মাধ্যমে হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন দেয়া শিয়া ইরানের সঙ্গে পরোক্ষ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে কট্টর সুন্নি শাসিত সৌদি আরব।
সৌদি আরব ও উপসাগরীয় অন্যান্য সুন্নি বাদশা শাসিত দেশগুলো ইয়েমেনের হাদিকে সমর্থন দিচ্ছে।
হাদির সরাসরি অনুরোধে সৌদি আরব এ অভিযান শুরু করেছে বলে দাবী করেছেন তিনি।
এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও পরোক্ষ সমর্থন দিচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। এই অভিযান ইয়েমেনের কোনো একটি শহর বা অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর অর্থ জোট বাহিনীর বিমানগুলো পছন্দমতো ইয়েমেনে যে কোনো স্থানে হুথি অবস্থানে হামলা চালাবে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী সানা দখল করে রাখা হুথি বিদ্রোহী বাহিনী ও ইয়েমেন সেনাবাহিনীর সহযোগী অংশটি চলতি সপ্তাহে মধ্যাঞ্চলীয় শহর তায়িজ দখল করে নিয়েছে। বুধবার ওই সম্মিলিত বাহিনী এডেন বিমানবন্দর ও কাছের একটি সামরিক বিমান ঘাঁটি দখল করে নেয়।