লম্বা লাইন ধরে একে একে এসে তারা প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার সকালে লি’র মরদেহ তার সরকারি বাসভবন থেকে কামানবাহী শকটে চড়িয়ে শহর ঘুরিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে আনা হয়।
নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতা লাভে নেতৃত্ব দেয়া ও নিজের ৩১ বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্রে পরিণত করা লি কুয়ান সোমবার ৯১ বছর বয়সে মারা যান।
তার মৃত্যুতে এক সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে সিঙ্গাপুর। রোববার তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
মরদেহ পার্লামেন্টে আনার পর পার্লামেন্টের চারপাশজুড়ে বিশাল লাইন পড়ে যায়। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায় দেশবাসী।
লি কুয়ানের সম্মানে যে নতুন জাতের অর্কিডটির নাম রাখা হয়েছে, পার্লামেন্টে লি’র কফিনের চারপাশ সেই অর্কিডে ঢেকে দেয়া হয়েছে। আর মৃতদেহ যথারীতি জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
পার্লামেন্টে আনার আগে পারিবারিক শোকজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে তার মরদেহ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কমপাউন্ডে রাখা হয়েছিল।
সেখানেও সদর দরজার বাইরে রাখা শোকবইয়ে সই করেছে হাজার হাজার মানুষ। ফুল ও শোকবার্তা রেখে গেছেন সেখানে।
এখান থেকে সরকার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা জাতীয় পতাকায় মোড়া লি’র কফিন পার্লামেন্টে নিয়ে গেছেন। যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরের প্রধান বিপণী এলাকা ও বাণিজ্যিক এলাকার রাস্তা দিয়ে গেছে কফিনবাহী শকট।
এ সময় দুপাশে দাঁড়ানো হাজার হাজার মানুষ লি’র নামে স্লোগান দিয়ে, হাততালি ও চিৎকার করে তাদের প্রিয় নেতাকে সম্মান জানান।
অনেক সংস্থা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় নেতার প্রতি শোক জানানোর সুবিধার্থে কর্মীদের ছুটি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার লি’র বড় ছেলে সিঙ্গাপুরের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি সিযেন লং নিজের ফেইসবুক পেইজে যারা শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি একটি নতুন জাতের অর্কিড যা সিঙ্গাপুরের জাতীয় ফুল, তার নাম পরিবর্তন করে আরান্দা লি কুয়ান ইয়েউ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।