ইবোলার প্রাদুর্ভাব শেষ হবে অগাস্টের মধ্যে: জাতিসংঘ

পশ্চিম আফ্রিকায় অগাস্টের মধ্যে ইবোলার প্রাদুর্ভাব শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2015, 05:56 PM
Updated : 23 March 2015, 05:56 PM

আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের ইবোলা প্রদুর্ভাবের ঘোষণার এক বছর পার হয়েছে, এ সময়ের মধ্যেই ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ‘মেডিসিনস সান্স ফ্রন্টিয়েরেস’ এর মতে, ‘বিশ্ব নেতাদের উদাসীনতার’ কারণে ইবোলার এই ভয়ঙ্কর ফল দেখতে হল।

এক বছর আগে এই দাতব্য সংস্থাটি স্থানীয় সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ইবোলার প্রদুর্ভাবের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি তখন একদমই গুরুত্ব পায়নি।

মেডিসিনস সান্স ফ্রন্টিয়েরেসের হেনরি গ্রেই বিবিসিকে বলেন, ইবোলাকে আমরা অবজ্ঞা করেছিলাম, যেটা খুবই হতাশজনক। খুব সম্ভবত আমাদের অবজ্ঞার কারণেই ইবোলা আজ মহামারি আকার ধারণ করেছে।

ইবোলায় নিহতদের বেশিরভাগই গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের নাগরিক ছিলেন।

জাতিসংঘের ইবোলা রেসপন্স মিশনের প্রধান ইসমাইল শেখ আহমেদও মনে করেন ইবোলা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শুরুতে জাতিসংঘ ভুল করেছিল।

তিনি বিবিসি’কে বলেন, “ভাইরাসটি প্রথম যখন ছড়াতে শুরু করেছিল তখন খুব সম্ভবত ভাইরাসটি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল এবং আমরা কিছুটা দাম্ভিক আচরণ করেছি। যদিও আমার মনে হয় এ থেকে আমরা শিক্ষা নিচ্ছি।”

“আমরা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না, তবে আমার নিশ্চিতভাবেই মনে হচ্ছে এটি গ্রীষ্মের মধ্যেই শেষ হবে।”

ধারণা করা হয়, গিনির প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি শিশু প্রথমে ইবোলা সংক্রমিত হয় এবং ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মারা যায়।

এর তিনমাস পর ডব্লিউএইচও আনুষ্ঠানিকভাবে ইবোলার প্রাদুর্ভাবের খবর ঘোষণা করে।

এরও প্রায় পাঁচ মাস পর সংস্থাটি গণস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাহায্য কামনা করে। ওই সময়ের মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।