ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘পিস টিভির মাধ্যমে ইসলাম প্রচারের জন্য’ সৌদি সরকার তাকে এই পুরস্কার দিয়েছে।
‘কিং ফয়সাল প্রাইজ’ সৌদি আরবের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার, যার অর্থমূল্য ২ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি বছর জাকির নায়েক ছাড়াও আরও চারজন এই পুরস্কার পেয়েছেন।
গত রোববার রিয়াদের বিলাসবহুল একটি হোটেলে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল-আজিজ আল সউদের হাত থেকে তার পুরস্কার নেন।
১৯৭৬ সালে বাদশা ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের সন্তানেরা এ পুরস্কার চালু করেন। ১৯৭৫ সালে বাদশাহ ফয়সাল মারা যাওয়ার পর তার নামে প্রতিষ্ঠিত বাদশা ফয়সাল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরবি ভাষাভাষীদের বাইরে ইসলাম প্রচারকারীদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি জাকির নায়েক তার প্রতিষ্ঠিত পিস টিভিতে ধর্ম নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশেও পরিচিত। তবে ইসলামের যে ব্যাখ্যা তিনি দেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গার্ডিয়ান লিখেছে, পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জাকির নায়েকের জীবনীভিত্তিক একটি ভিডিও দেখানো হয়, যাতে তিনি বলেন, “ইসলামই হচ্ছে একমাত্র ধর্ম যা মানবসম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”
ওই হামলায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বুশ প্রশাসনের কারসাজি বলে মন্তব্য করেন।
জাকির নায়েক তার বক্তৃতায় বলেন, “এমন কি একজন বোকাও জানে, এটি তারা নিজেরাই ঘটিয়েছে।”
বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ২০১০ সালে জাকির নায়েককে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলেও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ভারতের মহারাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া জাকির আবদুল করিম নায়েক চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রিধারী। ৪৭ বছর বয়সী এই বক্তা ইসলামী রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট। পিস টিভি ওই ফাউন্ডেশনেরই প্রতিষ্ঠান।