ই-মেইল প্রকাশ করুন: হিলারি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় সরকারি কাজের জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করা নিয়ে বিতর্ক বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন হিলারি ক্লিনটন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2015, 02:57 PM
Updated : 5 March 2015, 02:57 PM

এক ট্যুইটার বার্তায় তিনি লেখেন, “আমি চাই মানুষ আমার ই-মেইলগুলো দেখুক। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে এগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছি।”
 
২০১২ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্তের আওতায় মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি হিলারির ই-মেইলগুলো চেয়ে পাঠানোর পর এ উদ্যোগ নিলেন হিলারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ই-মেইলগুলো দ্রুত প্রকাশ করুক সেটিই চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
 
২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হিলারি কাজের জন্য ব্যক্তিগত ই-মেইল একাউন্ট ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পররাষ্ট্রদপ্তর। তিনি যথাযথভাবে ই-মেইল ব্যবহার করেননি বলে যে অভিযোগে আছে তা নিয়ে উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিতর্ক ঠান্ডা করতেই হিলারি ট্যুইটারে ওই বিবৃতি দিলেন।
 
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দল থেকে মনোনীত হওয়ার চেষ্টায় থাকা হিলারি ক্লিনটন ই-মেইল বিতর্ক নিয়ে হঠাৎ করেই বেশ চাপে পড়েছেন।
 
গত বুধবার জানা গেছে, হিলারির নিউ ইয়র্কের বাড়িতে তার নিজস্ব ইন্টারনেট সার্ভার আছে।‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, ২০০৯-২০১৩ সালে হিলারির কোনো সরকারি ই-মেইল ঠিকানা ছিল না।
 
সরকারি নজরদারি প্রতিষ্ঠানগুলোসহ ‘ন্যাশনাল আর্কাইভস এন্ড রেকর্ডস এডমিনিস্ট্রেশন’ এর সাবেক কর্মকর্তারা পত্রিকাটিকে বলেছেন, কোনো সরকারি ইমেইল একাউন্ট ছাড়া হিলারির এককভাবে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করাটা আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। তাছাড়া, ব্যক্তিগত ই-মেইল একাউন্ট সহজেই হ্যাকিং এর শিকার হতে পারে বলেও অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
 
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যত শিগগিরই সম্ভব হিলারির দেয়া ই-মেইলগুলো যাচাই-বাছাই করে সেগুলো প্রকাশের ব্যবস্থা করবে।