আলেপ্পোর গোয়েন্দা দপ্তরে বোমা হামলা

সিরিয়ার বৃহত্তম শহর আলেপ্পোয় বিমান বাহিনীর গোয়েন্দা সদরদপ্তরে বিদ্রোহীদের বোমা হামলা ও পরবর্তী বন্দুকযুদ্ধে বহু সরকারি সেনা ও বিদ্রোহী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2015, 09:38 AM
Updated : 5 March 2015, 09:38 AM

বুধবার সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

জিহাদি ও ইসলামপন্থি বিদ্রোহীরা কাছাকাছি একটি সুড়ঙ্গে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সদরদপ্তরে হামলা শুরু করে।

শহরটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে সুড়ঙ্গে বিদ্রোহীদের ঘটানো বড় ধরনের বিস্ফোরণে পুরো শহরটি কেঁপে ওঠে।

বিস্ফোরণটি ভূমিকম্পের মতো ছিল বলে জানিয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা। এদিকে ইউরোপীয়-মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এক প্রতিবেদনে, আলেপ্পোর স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পশ্চিম আলেপ্পোয় ২ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের কথা জানিয়েছে।

বিস্ফোরণে গোয়েন্দা ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে না বিধ্বস্ত হয়েছে, সে বিষয়ে পরস্পরবিরোধী ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিদ্রোহী সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে ভবনটি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে।

বিস্ফোরণের পরপরই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়ে যায়। আল কায়েদার সমর্থিত নুসরা ফ্রন্ট ও অন্যান্য উগ্র ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে দপ্তরটির দিকে এগোনোর চেষ্টা করে।

পাল্টা গোলাবর্ষণে ও বিমান হামলায় সরকারি বাহিনী জবাব দেয়।

নিহতদের মধ্যে সিরীয় বিমান বাহিনীর গোয়েন্দা সদস্য, সরকার সমর্থিত বেসামরিক বাহিনীর সদস্য, হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও হামলাকারী বিদ্রোহীরা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অবজারভেটরির পরিচালক রামি আব্দুল রহমান।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আলেপ্পোর লড়াই সম্পর্কে কিছু বলা না হলেও দেশটির একটি সামরিক সূত্র ওই এলাকায় বিস্ফোরণ ও লড়াই হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

২০১২ সালের মাঝামাঝিতে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে শহরটি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার মধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ গেরিলাদের সহায়তায় সরকারি বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখল অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ধারবাহিকভাবে তারা বিদ্রোহী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে শুরু করে।

পরিস্থিতির মোড় ফেরাতেই সরকারি বাহিনীর প্রধান একটি লক্ষ্যে বিদ্রোহীরা বেপরোয়া হামলা করেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।