যে কোনদিন ফায়ারিং স্কোয়াডে ময়ুরান শুকুমারান এবং এন্ড্রু চান নামে ওই দুই অস্ট্রেলীয়র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার এই দুই নাগরিকের পাশাপাশি একই সঙ্গে ফ্রান্স, ব্রাজিল, ঘানা এবং নাইজেরিয়ান নাগরিকেওর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। ফিলিপাইনের একজন নারীও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তবে তিনি তার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
ঠিক কখন দণ্ড কার্যকর হবে তা পরিষ্কার বোঝা না গেলেও কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দণ্ডিতদের ৭২ ঘণ্টা আগে তা জানাতে আইনগতভাবে বাধ্য।
চান ও শুকুমারানের প্রাণভিক্ষার আবেদন ইন্দোনেশীয় সরকার প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় সরকার এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও এই দণ্ড রোধে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, কোনো ধরনের বিদেশি চাপই এই দণ্ড কার্যকর রোধ করতে পারবে না।
ফ্রান্স ও ব্রাজিল তাদের নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্যারিস ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দেশটিতে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার নয়া রাষ্ট্রদূতের পরিচয় গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মাদক সংক্রান্ত অপরাধে ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত।
২০১৪ সালে দেশটিতে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। দেশটির সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মাদক সংক্রান্ত কোন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হলে তিনি ক্ষমা করবেন না।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে উইদোদো দায়িত্বগ্রহণ করার পর এটিই হবে দেশটিতে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।
সিডনি থেকে আসা শুকুমারান ২০০৫ সালের এপ্রিলে বালিতে অপর নয় অস্ট্রেলীয় নাগরিকের সঙ্গে ৮ দশমিক ৩ কেজি হিরোইনসহ গ্রেপ্তার হন।
শুকুমারান ও চেন ওই দলটির নেতা বলে প্রমাণিত হয় এবং তাদের ২০০৬ সালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই নয়জনের আটজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হওয়ায় একাধিক আপিল নিষ্পত্তি শেষে তাদের যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ড দেয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।