মৃত্যু কার্যকরের স্থানে নেয়া হয়েছে দুই দণ্ডিত অস্ট্রেলীয়কে

ইন্দোনেশিয়ায় ‘বালি নাইন’ মাদক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত  দুই অস্ট্রেলীয় নাগরিককে  দণ্ড কার্যকরের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 10:21 AM
Updated : 4 March 2015, 10:21 AM

যে কোনদিন ফায়ারিং স্কোয়াডে ময়ুরান শুকুমারান এবং এন্ড্রু চান নামে ওই দুই অস্ট্রেলীয়র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করার জন্য অস্ট্রেলিয়া ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। 

অস্ট্রেলিয়ার এই দুই নাগরিকের পাশাপাশি একই সঙ্গে ফ্রান্স, ব্রাজিল, ঘানা এবং নাইজেরিয়ান নাগরিকেওর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। ফিলিপাইনের একজন নারীও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। তবে তিনি তার দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।

ঠিক কখন দণ্ড কার্যকর হবে তা পরিষ্কার বোঝা না গেলেও কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দণ্ডিতদের ৭২ ঘণ্টা আগে তা জানাতে আইনগতভাবে বাধ্য।

চান ও শুকুমারানের প্রাণভিক্ষার আবেদন ইন্দোনেশীয় সরকার প্রত্যাখ্যান করে। পাশাপাশি অস্ট্রেলীয় সরকার এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোও এই দণ্ড রোধে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে।

এই দণ্ডকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গোয়েন্দাগিরির কারণে দুইদেশের মধ্যে নাজুক সম্পর্ক সবে মেরামত হচ্ছিল। এ সময়েই এই ঘটনা আবারও দেশ দু’টির সম্পর্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেছেন, কোনো ধরনের বিদেশি চাপই এই দণ্ড কার্যকর রোধ করতে পারবে না।

ফ্রান্স ও ব্রাজিল তাদের নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্যারিস ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দেশটিতে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার নয়া রাষ্ট্রদূতের পরিচয় গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

মাদক সংক্রান্ত অপরাধে ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত।

২০১৪ সালে দেশটিতে কোন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। দেশটির সদ্যনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মাদক সংক্রান্ত কোন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হলে তিনি ক্ষমা করবেন না।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে উইদোদো দায়িত্বগ্রহণ করার পর এটিই হবে দেশটিতে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।

সিডনি থেকে আসা শুকুমারান ২০০৫ সালের এপ্রিলে বালিতে অপর নয় অস্ট্রেলীয় নাগরিকের সঙ্গে ৮ দশমিক ৩ কেজি হিরোইনসহ গ্রেপ্তার হন।

শুকুমারান ও চেন ওই দলটির নেতা বলে প্রমাণিত হয় এবং তাদের ২০০৬ সালে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

গ্রেপ্তার ওই নয়জনের আটজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হওয়ায় একাধিক আপিল নিষ্পত্তি শেষে তাদের যাবজ্জীবন কারাবাসের দণ্ড দেয়া হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।