‘সিরিয়া থেকে ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ নাগরিক’

ইসলামি জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৮০ জন নাগরিক সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। এদের মধ্যে ৪০ জন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেও এসেছেন।

রয়টার্স
Published : 3 March 2015, 05:00 AM
Updated : 3 March 2015, 05:00 AM

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কাউন্সিলের এক বৈঠকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তবে সিরিয়ায় যাওয়া সবাই ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোতে যোগ না দিয়ে কারো কারো ত্রাণকর্মী হিসেবে কাজ করার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠী ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি পরস্পরের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোর ধারণা, বিশ্বের ৯০টি দেশ থেকে ২০ হাজারেরও বেশি বিদেশি যোদ্ধা সিরিয়া গেছেন। এদের একটি বড় অংশ আইএস’এ যোগ দিয়েছে। উগ্রপন্থি এই গোষ্ঠীটি সিরিয়া ও প্রতিবেশী ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে ‘ইসলামি খিলাফত’ ঘোষণা করেছে।

কিছু মার্কিনি মৌলবাদী হয়ে সিরিয়ায় হামলা পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ক্ল্যাপার বলেছেন, সিরিয়া থেকে ফিরে আসা যোদ্ধারা কোনো গোপন ফন্দি আঁটছে এমন কোনো বিষয় তাদের নজরে আসেনি।

তিনি বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত এই ভ্রমণকারীরা সহিংসতায় না জড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তারা দেশে ফিরে আসার সুযোগ পাবে তারা।”

আইএস ও আল কায়েদা সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে মুসলিম দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তহবিল যোগানো সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্ল্যাপার। মধ্যপ্রাচ্যের সরকারগুলোর নজরদারির কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো সিরিয়ায় আইএস’র বিরুদ্ধে লড়াইকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতা ছাড়া উচিত বলে যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বাস করে জানিয়ে তিনি বলেছেন, “সব চরমপন্থা আসাদের কারণেই তৈরি হয়েছে।”  সিরিয়ার “মধ্যপন্থি” বিদ্রোহীদের সংগ্রহ করা, বিদ্রোহী বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগকে একটি দীর্ঘমেয়াদী বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।