ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের স্কিড রো এলাকায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে ভবঘুরে ওই ব্যক্তির ধ্বস্তাধ্বস্তি হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি একজন পুলিশ কর্মকর্তার বন্দুক কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তিকে সবাই আফ্রিকা নামে ডাকত। গত কয়েক মাস ধরে সে ভবঘুরে জীবন যাপন করছিল। এর আগে ১০ বছর সে মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের দাবি, ডাকাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিহত ব্যক্তিকে আটকাতে প্রথমে পুলিশ তাকে ইলেকট্রিক শক দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি চালিয়ে যাচ্ছিল।
বিবিসি জানায়, প্রকৃত ঘটনা কি ছিল সেটা ভিডিওতে স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না।
ভিডিও’র শুরুতে দেখা যায়, কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তি ঘুষি পাকিয়ে চার পুলিশ কর্মকর্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আরো দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে দৌড়ে যান।
এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়। এ সময় একজন নারীকে মাটিতে পড়ে থাকা পুলিশের ব্যাটন তুলতে দেখা যায় এবং তখনই চিৎকার শোনা যায়, ‘আমাকে আমার লাঠি দাও! আমাকে আমার লাঠি দাও’!
বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীর দিকে ঘুরে যায়। ওই নারীর কারণে মাটিতে পড়ে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে ঠিক কি হচ্ছিল সেটা ভিডিওতে স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু শোনা যাচ্ছিল ‘বন্দুক ফেলে দাও!’ এ কথা চার বার শোনা যায়। এরপরই পাঁচটি গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।
পুলিশ কর্মকর্তারা মাটিতে পড়ে থাকা ব্যক্তি থেকে পিছিয়ে যেতে থাকে এবং এক মিনিট ১৩ সেকেন্ড পর্যন্ত কেউই আর পড়ে থাকা ব্যক্তির কাছে যায়নি।
যে ব্যক্তি ভিডিওটি ধারণ করছিল ওই সময় তাকে বলতে শোনা যায়, “কেউ কোন ….বন্দুক কেড়ে নেয়নি। আমি এসব ….রেকর্ড করছি। তারা ঠিক এখানেই ওই ব্যক্তিকে বিনা কারণে গুলি করে দিল।”
পুলিশ কমান্ডার অ্যান্ড্রু স্মিথ জানান, তারা ওই ভিডিওটির কথা জানতে পেরেছেন এবং ঠিক কি ঘটেছে সেটা বের করতে ভিডিওটি যাচাই বাছাই করে দেখছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে অন্তত একজনের পোশাকের সঙ্গে ক্যামেরা যুক্ত ছিল বলেও জানান তিনি।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ কমিশনের প্রেসিডেন্ট স্টিভ বিবিসি’কে বলেন, কোন সিদ্ধান্তে আসার আগে বিষয়টি নিয়ে পূর্ণ তদন্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত মাসের শেষ দিকে পুলিশ একজন নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করলে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।