নেমৎসোভের ছবি হাতে এবং ‘আমরা ভয় পাই না’ লেখা ব্যানার নিয়ে রোববার এ মিছিলে নামে মানুষ। মস্কোতে এদিনই বিরোধীদলের এক সমাবেশে নেমৎসোভের নেতৃত্ব দেওয়া কথা ছিল। কিন্তু তার মৃত্যুতে সে সমাবেশ এখন পরিণত হয়েছে শোকমিছিলে।
গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১২টার দিকে হেঁটে মস্কোর বলশয়মস্কভোরেৎস্কি সেতু পার হওয়ার সময় এক আততায়ীর গুলিতেনেমৎসোভ নিহত হন।
এ হত্যাকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক’ অভিহিত করে এ ঘটনায় ক্রেমলিন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন নেমৎসোভের সমর্থক ও মিত্ররা। তবে এহত্যাকাণ্ডকে শয়তানি কাজ হিসাবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট পুতিন হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করেছেন।
নেমৎসোভের সমর্থকেরা রোববার দুপুরে মস্কোর কেন্দ্রস্থলে জড়ো হন। এরপর তারা সেখান থেকে শোকমিছিল নিয়ে নেমৎসোভের নিহতহওয়ার স্থান গ্রেট মস্কভোরেৎস্কি সেতুতে যান। সেন্ট পিটার্সবার্গেও মিছিল করে কয়েক হাজার মানুষ।
মস্কো নগর কর্র্তপক্ষ রাজপথে ৫০ হাজার মানুষের মিছিলের অনুমোদন দিয়েছিল।তবে মিছিলে কত মানুষ হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো সরকারি পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও এ সংখ্যা ১৬ হাজার থেকে ৭০ হাজার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বেশির ভাগ মানুষই জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছে এবং নেমৎসোভ নিহত হওয়ার স্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এর আগে শনিবারও নেমৎসোভের নিহত হওয়ার স্থানে ফুল দিয়ে ও মোমবাতি জ্বেলে শ্রদ্ধা জানায় হাজারো মানুষ।
রুশ বিরোধীদল আরপিআর-পারনাসাস পার্টির নেতা ছিলেন নেমৎসোভ। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ করে নেয়া ও ইউক্রেইনের যুদ্ধের বিরোধীছিলেন তিনি। রোববার মস্কোয় ইউক্রেইনের যুদ্ধবিরোধী একটি মিছিল করার ডাকও দিয়েছিলেন নেমৎসোভ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেমৎসোভ বলেছিলেন, ইউক্রেইনের গৃহযুদ্ধের বিরোধিতা করার কারণে পুতিন তাকে মেরে ফেলতে পারে বলে তার আশঙ্কা।
১৯৯০’র দশকে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বোরিস ইয়েলৎসিনের শাসনকালে নেমৎসোভ রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর ছিলেন। ইয়েলৎসিনেরপরবর্তী প্রেসিডেন্ট পুতিন তাকে অগ্রাহ্য করলে সক্রিয় বিরোধীদলীয় নেতা হন তিনি।