বিচার ও শান্তি পরিষদের নির্বাহী সম্পাদক হিয়াকিন্থ পিটার বলেন, “বিশ্ব দাসপ্রথার সূচকে (জিএসআই) পাকিস্তানের অবস্থান তৃতীয়।”
‘দ্য ডন’ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটার আরো বলেন, “যে কোন ধরনের দাসত্বই অবৈধ এবং অমানবিক। পাকিস্তানে দাসত্বের উচ্চ হার গভীর উদ্বেগের বিষয়। এটি অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় দেশটির প্রশাসনের ব্যর্থতা।”
সর্বনিম্ন মজুরির যথাযথ প্রয়োগ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান এবং অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এই দাস প্রথা বিলুপ্ত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
জিএসআই’র তথ্যানুযায়ী, পাকিস্তানে ২০ লাখের বেশি মানুষ দাস হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিশেষ করে পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে ঋণ পরিশোধে কোন পরিবারের সব সদস্যকে দাস হিসেবে কাজ করতে হয়। এ ধরনের শ্রমিকরা সাধারণত ইটের ভাটায় অমানবিক পরিশ্রম করতে বাধ্য হয়।
ইটের ভাটার শ্রমিক ক্রয় বা বিক্রয় পাকিস্তানে একটি লাভজনক ব্যবসা। কারণ ইটের ভাটাগুলোতে শ্রমিক আইন তেমন একটা কার্যকর নয়।