১২ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনীর ইরাক আক্রমণের সময় জাদুঘরটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
যুদ্ধের সময় জাদুঘরে থাকা অনেক প্রত্নতত্ত্ব লুট হয়ে গিয়েছিল। পরে লুট হয়ে যাওয়া প্রত্নতত্ত্বের কিছু অংশ উদ্ধার করে পুনস্থাপন করা হয়।
কিছুদিন আগে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায়, মসুলে আইএস জঙ্গিরা লুট হয়ে যাওয়া ওই সব প্রত্নতত্ত্ব ধ্বংস করছে।
এর পরপরই তাড়াহুড়া করে জাদুঘরটি খুলে দেয়া হল।
যারা প্রত্নতত্ত্ব ধ্বংস করেছে তাদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবেদি।
জাদুঘরটি খুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে আল-আবেদি বলেন, “ওই বর্বর ও নিষ্ঠুর অপরাধীরা মানবজাতি ও ইরাকের সভ্যতার ঐহিত্যকে ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা করেছে।”
ইরাকের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কিভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ইউনেস্কো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরী বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
জাদুঘরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসাইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় জাদুঘর থেকে প্রায় ১৫ হাজার প্রত্নতত্ত্বের নিদর্শন চুরি হয়ে যায়। যেগুলোর এক তৃতীয়াংশ পরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ওই নিদর্শনগুলো মানবজাতির সাত হাজার বছরের ঐহিত্যকে ধারণ করছে।