জিহাদি জনকে খুঁজে বের করা হবে: ক্যামেরন

নিজেদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করে ‘জিহাদি জন’র মত জঙ্গিদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

>> রয়াটর্সবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2015, 02:14 PM
Updated : 28 Feb 2015, 02:14 PM

সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি জিহাদি জনের আসল পরিচয় পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। কুয়েতী বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক এমওয়াজি পশ্চিম লন্ডনে বসবাস করত। ২৬ বছর বয়সী এমওয়াজি কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে গ্রাজুয়েশন করেছে।

ক্যামেরন বলেন, “বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে যখনই কেউ ব্রিটিশ জনগণের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ও নৃশংস অপরাধ করবে তখনই তাদের খুঁজে বের করে অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে আমরা সব কিছু করবো “

“এ কাজে আমরা আমাদের পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনীসহ যা কিছু ব্যবস্থা আছে সব কিছু একজোট করে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করবো।”

ক্যামেরন মনে করেন ব্রিটিশ জনগণের নিরাপত্তা বাহিনীকে সমর্থন দেয়া উচিত। যুক্তরাজ্যের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর চমৎকার ও একাগ্র ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি।  

ওয়াশিংটন পোস্টে সর্বপ্রথম এমওয়াজির নাম প্রকাশ পায়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দুইটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তাদের বিশ্বাস এমওয়াজিই জিহাদি জন।”

সান এবং ডেইলি মেইল পত্রিকায় একটি স্কুলবালকের ছবি প্রকাশ করে সেটা এমওয়াজির বলে দাবি করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, পশ্চিম লন্ডনের মাইডা ভ্যালিতে সেন্ট মেরি মেগডালেন চার্চ প্রাইমারি স্কুলের মাঠে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে ছবির জন্য হাসি মুখে পোজ দিয়েছে এমওয়াজি।

গত অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফোলির শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রাকাশ পায়। ওই ভিডিওতে প্রথম এমওয়াজিকে দেখা যায়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক স্টিভেন সলোফ, যুক্তরাজ্যের ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্স, যুক্তরাজ্যের ট্যাক্সি চালক অ্যালান হেনিং,যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণকর্মী আব্দুল-রহমান কেসিং ( যিনি পিটার নামেও পরিচিত) এর শিরশ্ছেদের ভিডিওতেও এমওয়াজিকেই দেখা গেছে, বলে ধারণা যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর।

প্রতিটি ভিডিওতে এমওয়াজির পুরো শরীর কালো কাপড়ে আবৃত ছিল। শুধু তার দুই চোখ এবং নাকের কিছুটা অংশ দেখা গিয়েছিল।
ভিডিওগুলোতে এমওয়াজি ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলেছেন। জিম্মিদের গলায় ছুরি ধরার আগে তাকে পশ্চিমা বিশ্বকে বিদ্রুপ করতে দেখা গেছে।
এ মাসের শুরুতে জাপানের সাংবাদিক কেনজি গোতোর শিরশ্ছেদের ভিডিওতেও তাকে দেখা গেছে।