আইএস’র উপর হামলা চালানোর লক্ষ্যে সামারায় জড়ো হচ্ছিল ইরাকি বাহিনী ও শিয়া যোদ্ধারা।
এই মিলিত বাহিনী অভিযান শুরু করার আগেই শনিবার তাদের অবস্থানের উপর হামলা শুরু করে দেয় আইএস জঙ্গিরা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় সামারার সুর শানস এলাকায় দুটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলার মধ্য দিয়ে আক্রমণ শুরু করে আইএস।
প্রায় একই সময় শহরটির দক্ষিণে এক আত্মঘাতী বিস্ফোরক ভর্তি একটি হামভি সামরিক যান নিয়ে শহরের দক্ষিণ অংশে বিস্ফোরণ ঘটায়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শহরটির পশ্চিম দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থান স্থলে স্নাইপার রাইফেল, মর্টার ও রকেট চালিত গ্রেনেড নিয়ে হামলা শুরু করে জঙ্গিরা।
সামারার কাছাকাছি টাইগ্রিস নদী ও ৫০ কিলোমিটার দূরের তিকরিত থেকে আইএস জঙ্গিদের হটিয়ে দিতে সামারায় কয়েক হাজার সরকারি সেনা ও হাশিদ সাহাবি নামে পরিচিত শিয়া বেসামরিক বাহিনীর যোদ্ধারা জড়ো হয়েছিল।
সামারার হাসপাতাল সূত্রগুলো জানিয়েছে, সামারা হাসপাতালে হাশিদ সাহাবির তিন যোদ্ধার লাশ এসেছে, আহত অপর ছয়জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলার মধ্যেই শহরের বিভিন্ন স্থানে কালো ধোঁয়া ও ভারী বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দারা।
সামারা থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত ইশাকি শহরে হাশিদা সাহাবির দুই সদস্য স্নাইপারদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। রাজধানী বাগদাদ ও সামরার সংযোগকারী সড়কের উপর বালির বস্তার ঘের তৈরির সময় তাদের গুলি করা হয়।