শুক্রবার সকালে মেক্সিকোর মাদক সহিংসতা কবলিত মিচোয়াকান রাজ্যের প্রধান শহর মোরেলিয়া থেকে কয়েকজন সহযোগীসহ তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় পুলিশ।
কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা জাল বিস্তারের পর ‘লা টুটা’কে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শীর্ষ এই মাদক অপরাধীচক্রের হোতাকে আটককালে একটি গুলিও খরচ করতে হয়নি বলে দাবি করেছে পুলিশ।
৪৯ বছর বয়সী ‘লা টুটা’ (গোমেজ) মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পিনা নিয়েতো’র প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছিলেন।
পশ্চিমাঞ্চলীয় মিচোয়াকান রাজ্যে গোমেজের নাইটস টেম্পলার মাদকচক্র ও স্থানীয় নাগরিক কমিটির সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছিল।
নাগরিক কমিটি টেম্পলার চক্রকে রাজ্য ছাড়া করার চেষ্টায় ছিল। দুপক্ষের লড়াইয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছিল। মিচোয়াকান রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট পিনা নিয়েতো।
এই রাজ্যটি থেকেই সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোর বহুল আলোচিত ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছিলেন।
দুর্নীতিপরায়ণ পুলিশ ওই ৪৩ জনকে টেম্পলার চক্রের অপরাধীদের হাতে তুলে দেয়। অপরাধীরা সব শিক্ষার্থীকে খুন করে পুড়িয়ে অবশেষ নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
এতে মেক্সিকোজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গণঅসন্তোষ পিনা নিয়েতোর ক্ষমতার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেয়।
ওই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেয়া মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল জেসাস মুরিল্লোর পদত্যাগের দাবিতে জনতা উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুরিল্লোকে শহর ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী পদে সরিয়ে নেয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় গোমেজকে গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে ব্যাঙের মতো উবুঁ হয়ে সামনে এগোতে বাধ্য করে পুলিশ। এরপর কেন্দ্রীয় পুলিশ সদস্যরা গোমেজের ঘাড় ধরে তাকে হেলিকপ্টারে দিকে নিয়ে যান। হেলিকপ্টারে করে তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোমেজের বিরুদ্ধে খুন, মাদক ও অস্ত্র পাচার, বলপ্রয়োগ ও অপহরণ ইত্যাদি অভিযোগে আটটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।
অন্ততপক্ষে সাত সন্তানের জনক গোমেজের মাথার জন্য মেক্সিকোতে ২০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা আছে।