শনিবার এ বিলটি পাস না হলে ওইদিন মধ্যরাতেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ আংশিক অচল হয়ে পড়ত বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সিনেটে পাস হওয়ার পর মধ্যরাতের মাত্র দুই ঘন্টা আগে প্রতিনিধি পরিষদে স্বল্প মেয়াদি এই বিলটির পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পড়ে। পক্ষে ৩৫৭টি ভোট ও বিপক্ষে পড়ে ৬০টি।
যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত, বিমানবন্দরগুলো এবং উপকূলীয় জলভাগের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। এই বিলটি পাস না হলে বিভাগটির প্রায় ২ লাখ ‘জরুরি কর্র্মী’কে বেতন ছাড়াই কাজ চালিয়ে নিতে হত।
স্বল্প-মেয়াদী বিল পাসের মাধ্যমে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ২ লাখ ৫০ হাজার কর্মীর বেতন আপাতত নিশ্চিত হল। এই এক সপ্তাহে বিভাগটির দীর্ঘমেয়াদী তহবিল যোগানো নিয়ে কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান ও ক্ষমতাসীন ডেমক্রেটদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলবে।
শাটডাউন এড়ানোর লক্ষ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্বল্প-মেয়াদী এ বিলটি প্রস্তাব করেন। এখন ওবামা বিলটিতে সই করলেই এটি কার্যকর হবে।
প্রেসিডেন্ট ওবামার ইমিগ্রেশন পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের জুড়ে দেয়া শর্ত প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর সরকারি দলের প্রস্তাব করা তিনসপ্তাহ মেয়াদী বিল প্রত্যাখ্যান করে রিপাবলিকানরা।
দীর্ঘ মেয়াদী বিলে রিপাবলিকানদের রাজি করানো যাবে, এই প্রত্যাশায় অনেক ডেমক্রেট দলীয় সদস্যও এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
এরপর ডেমক্রেট নেতাদের ফোন করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের আংশিক অচলাবস্থা ঠেকাতে নতুন প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন। ওবামার ওই ফোনেই এক সপ্তাহ মেয়াদী বিলের প্রস্তাব তোলা হয়।
অভিবাসন কর্মকর্তারাও এই বিভাগের কর্মী হওয়ায়, কিছু রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ওবামার অভিবাসননীতি নিয়ে দর কষাকষির সুযোগ নিতে বিভাগটির তহবিল আটকে দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগটিতে অচলাবস্থা তৈরি হলে অনেকগুলো সমস্যা দেখা দিত।
যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পাওয়া কোনো নতুন কর্মীর অনুমোদন ই-ভেরিফাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারতেন না বিভাগটির কর্মীরা।
প্রশিক্ষণ ও নতুন রসদ কেনার জন্য স্থানীয় ও রাজ্য কর্তৃপক্ষ কোনো মঞ্জুরি পেত না।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সিক্রেট সার্ভিস কোনো এজেন্ট ধার করতে পারতো না।
নাগরিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা বিষয়ক অভিযোগ ও এর তদন্ত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেত।
২০১৪ সালের নভেম্বরে ডেমক্রেট প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজের নির্বাহী ক্ষমতাবলে ৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানোর একটি উদ্যোগ বন্ধ করে দেন। এই কাজ করে ওবামা নিজের ক্ষমতার বাইরে পা রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছে রিপাবলিকানরা।