ধর্মীয় চরমপন্থা ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলার কারণে এই ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে বলে বেশিরভাগ গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
বিবিসি’র অনলাইন সংস্করণে এই খবরটি দীর্ঘক্ষণ প্রধান খবরের তালিকায় দেখা যায়।
‘বালাদেশি বংশদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখককে কুপিয়ে হত্যা’ শিরোনামের ওই খবরে অভিজিৎ রায়ের ধর্ম নিয়ে লেখালিখি এবং ইসলামিক কট্টরপন্থিদের ক্ষুব্ধ হওয়ার প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করা হয়।
‘বাংলাদেশের রাজধানীতে ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা’ শিরোনাম করে আল-জাজিরা বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে অভিজিৎ দম্পতি হামলার শিকার হন।
গার্ডিয়ান অভিজিৎকে ‘নাস্তিক’ ব্লগার উল্লেখ করে শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশে আমেরিকান নাস্তিক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা’।
পুলিশের বরাত দিয়ে ওই খবরে বলা হয়, ঢাকায় অজ্ঞাত হামলাকারীরা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার একজন বিখ্যাত ব্লগারকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নাস্তিক ওই লেখকের পরিবারের দাবি, ইসলামিক চরমপন্থিদের কাছ থেকে অভিজিৎ বহুবার হুমকি পেয়েছিলেন।
ইনডিপেনডেন্ট এই খুনের জন্য সরাসরি ইসলামিক চরমপন্থিদের দায়ী করে শিরোনাম করেছে- ‘সন্দেহভাজন ইসলামিক চরমপন্থিরাদের হাতে আমেরিকান-বাংলাদেশি নাস্তিক ব্লগার অভিজিৎ রায় খুন’।
তাদের খবরে বলা হয়েছে, অভিজিৎ তার লেখায় ধর্মীয় চরমপন্থা ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলেছেন।
সিবিএসনিউজে অভিজিৎ রায়কে ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে লেখালেখির জন্য হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। টাইমস লিখেছে- বাংলাদেশে আমেরিকার একজন নাস্তিক লেখককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যিনি তার ধর্মনিরপেক্ষ লেখালেখির জন্য ইসলামিক কট্টোরপন্থিদের কাছ থেকে অনেকবার হুমকি পেয়েছেন।
আইরিশ টাইমস শিরোনাম করেছে- ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বাংলাদেশি ব্লগারকে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা। খবরে বলা হয়: একজন বিখ্যাত ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যিনি ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য পরিচিত। স্ত্রীকে নিয়ে হেঁটে হাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।