জিহাদি জনের বিচার চায় নিহতের পরিবার

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি ‘জিহাদি জন’ এর জীবিত আটক হওয়া দেখতে চায় নিহত যুক্তরাজ্যের ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্সের পরিবার। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2015, 01:16 PM
Updated : 27 Feb 2015, 01:52 PM

ডেভিড হেইন্সের বিধবা স্ত্রী ড্রাগানা হেইন্স এ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

হেইন্স স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণকর্মী হিসেবে সিরিয়ায় গিয়েছিলেন। পরে আইএস তাকে জিম্মি করে।

বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ড্রাগানা বলেন, “জিহাদি জনকে জীবিত আটক করা উচিত। একমাত্র তাহলেই তার হাতে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কিছুটা হলেও শান্তি পাবে। কারণ যদি অভিযানের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়, তবে তা তার জন্য সম্মানজনক মৃত্যু হয়ে যাবে। আমি চাই তাকে জীবিত আটক করা হোক। তার মত কারো জন্য আসলে এটাই আমার শেষ চাওয়া।”

“আমার মনে হয় তার বিচার হওয়া উচিত, কিন্তু তা অভিযানের মাধ্যমে হত্যা করে নয়।”

পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদের ভিডিওগুলোতে মুখ ঢাকা কালো পোশাকে দেখা যাওয়া জিহাদি জনের আসল পরিচয় পাওয়া গেছে।

বিবিসি জানায়, তার নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। যুক্তরাজ্যের নাগরিক কুয়েতি বংশোদ্ভূত এমওয়াজির বয়স ২০ এর কোটায়। তিনি পশ্চিম লন্ডনের বাসিন্দা এবং সে যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

গত অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফোলির শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রাকাশ পায়। ওই ভিডিওতে প্রথম এমওয়াজিকে দেখা যায়।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক স্টিভেন সলোফ, যুক্তরাজ্যের ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্স, যুক্তরাজ্যের ট্যাক্সি চালক অ্যালান হেনিং, যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণকর্মী আব্দুল-রহমান কেসিং ( যিনি পিটার নামেও পরিচিত) এর শিরশ্ছেদের ভিডিওতেও এমওয়াজিকেই দেখা গেছে, বলে ধারণা যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর।

প্রতিটি ভিডিওতে এমওয়াজির পুরো শরীর কালো কাপড়ে আবৃত ছিল। শুধু তার দুই চোখ এবং নাকের কিছুটা অংশ দেখা গিয়েছিল।

ভিডিওগুলোতে এমওয়াজি ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলেছেন। জিম্মিদের গলায় ছুরি ধরার আগে তাকে পশ্চিমা বিশ্বকে বিদ্রুপ করতে দেখা গেছে।

এ মাসের শুরুতে জাপানের সাংবাদিক কেনজি গোতোর শিরশ্ছেদের ভিডিওতেও তাকে দেখা গেছে।