কাবুলের কড়া পাহারাধীন এলাকায় জার্মান, ইরানি এবং তুরস্কের দূতাবাসের কাছে এ হামলা হয়। এতে করে দূতাবাসের জানালা ভেঙে গেছে এবং দূতাবাসকর্মীরা খুবই সতর্কবস্থায় রয়েছে।
নেটোর সিনিয়র সিভিলিয়ান রিপ্রেজেনন্টেটিভ এবং আফগানিস্তানের সাবেক তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে ফোনে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। হামলার সময় তিনি কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তুরস্কের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “গাড়িবোমাটি তুর্কি দূত ইসমাইল আরামাজের নিরাপত্তা বহরের গাড়িতে চালানো হয়েছে।”
হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবেই স্বীকার করেছে তালেবান। তবে তারা মার্কিন সেনাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে জানিয়েছে। ফলে মার্কিন সেনাদের গাড়িবহর ভেবে তালেবান জঙ্গিরা ভুল করে তুর্কি দূতের নিরাপত্তা গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারের হামলাটি ঘটে ইরানের দূতাবাসের বাইরে। তুরস্কের দূতাবাসের পাশেই এর অবস্থান।
আফগান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়ি খতিয়ে দেখেছেন। আফগান পুলিশ পরে জায়গাটি সিল করে দিয়ে তদন্ত শুরু করে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, আত্মঘাতী হামলাকারী একটি টয়োটা সেডানে করে এসেছিল। আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, তুরস্কের দূতাবাসের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে এবং বিস্ফোরণে গাড়ির চালক নিহত হয়েছে।
কাবুলে সম্প্রতি মাঝে মধ্যেই এমন হামলা হয়েছে। নভেম্বরে ব্রিটিশ দূতাবাসের একটি গাড়িতে বোমা হামলাকারীরা বোমা হামলা চালায়। এতে নিহত হয় ৫ জন। এর মধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিক।
জানুয়ারিতে সংঘটিত হয় আরেকটি হামলা।সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পুলিশের গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে নিহত হয় এক পথচারী।