মঙ্গলবার প্রকাশিত ভিডিওটিতে যে নির্মমতা ধারণ করা হয়েছে তাতে পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গেছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ‘দুনিয়া কাঁপানো’ প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জর্ডান।
জর্ডানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জর্ডানের কাছে বন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন জঙ্গির শাস্তি শিগগির কার্যকর করা হবে। এই জঙ্গিদের মধ্যে আইএস সদস্য ইরাকি এক নারী বন্দিও রয়েছেন।
ডিসেম্বরে সিরিয়ায় জর্ডারি পাইলট কাসাসবেহ’র জঙ্গি বিমানটি বিধ্বস্ত হলে তিনি আইএস জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েন। আইএস’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় জোট বাহিনীর পাইলট হিসেবে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন কাসাসবেহ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে আইএস’র প্রকাশিত ভিডিওটি যাচাই করে এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ভিডিওতে কাসাসবেহ’র মতো দেখতে এক ব্যক্তিকে ছোট কালো একটি খাঁচায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, যার চারদিকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।
এই ভিডিও প্রকাশের পর জর্ডানের তীব্র প্রতিক্রিয়া থেকে পরিষ্কার হয়েছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ ভিডিওটিকে সত্য বলেই গ্রহণ করেছে।
কাসসাবেহ’র হত্যার কথা প্রচারিত হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন জর্ডানের বাদশা আবদুল্লাহ।
টেলিভিশনের সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে আবদুল্লাহ বলেছেন, “ইসলামের সঙ্গে সম্পর্কহীন উদ্ভট গোষ্ঠীটির এ কাজ কাপুরুষোচিত সন্ত্রাস।”
কাসাসবেহ জর্ডানের অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠীর সদস্য। এই গোষ্ঠীটিকে বাদশা আবদুল্লাহর ক্ষমতার প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জর্ডান তাদের কাছে বন্দি ইরাকি নারী জঙ্গি সাজিদা আল রিশাবি’র সঙ্গে কাসাসবেহকে বিনিময় করার প্রস্তাব দিয়েছিল ।
২০০৫ সালে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।
ওই বোমা হামলায় জড়িত থাকার দায়ে রিশাবিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে জর্ডানের আদালত।