ইউক্রেইন সংকট: নতুন করে শান্তি আলোচনা

ইউক্রেইন সংকট মোকাবেলায় নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 31 Jan 2015, 03:35 PM
Updated : 31 Jan 2015, 03:35 PM

আলোচনায় অংশ নিতে ইউক্রেইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট লিওনিদ কুচমা, রাশিয়ার একজন কূটনীতিক ও বিদ্রোহী দলগুলোর কয়েকজন নেতা বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে পৌঁছেছেন বলে রয়টার্সের প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য সংগঠনের (ওএসসিই) উদ্যোগে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় অংশ নিতে ওএসসিই’র কর্মকর্তারাও মিনস্কে পৌঁছেছেন।

গত বছর সেপ্টেম্বরে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তির পর এই প্রথম ইউক্রেইন সংকট সমাধানে আলোচনা শুরু হল।

সেপ্টেম্বরে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হলেও ইউক্রেইনের সরকার ও বিদ্রোহী উভয় পক্ষই তা লঙ্ঘন করেছে।

গত সপ্তাহে দেশটির পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করে।

আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ভিয়াচেস্লাভ আবরস্কিন ফেসবুকে লেখেন, “শনিবার দিবালতিসেভে শহরে বিদ্রোহীদের কামানের গোলা বর্ষণে ১২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।”

প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তেপান পোলতোরা বলেন, “শনিবার পূর্বাঞ্চল জুড়ে সংঘর্ষে ইউক্রেইনের ১৫ সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে।”

দিবালতিসেভে শহরটির পাশ দিয়েই দোনেৎস্ক যাওয়ার প্রধান সড়কটি গেছে। ওই সড়কটি দিয়েই বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত আরেকটি বড় শহর লুহান্সকে যেতে হয়। এছাড়া রাশিয়া থেকে রেল পথে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দিবালতিসেভে শহরের ভূমিকা খুবই ‍গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার দোনেৎস্ক, দেবালতিসেভে ও আরো কিছু এলাকায় গোলা বর্ষণে ২০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার পর ওই এলাকায় সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করে।

ইউক্রেইন সরকার ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ রাশিয়া বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র ও যোদ্ধা দিচ্ছে।

যদিও মস্কো প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইউক্রেইন বিষয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ফলে ২০ বছরেরও বেশি আগে শেষ হওয়া স্নায়ু যুদ্ধের পর এই প্রথম রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে।