‘ভেনেজুয়েলায় আন্দোলন দমনে প্রয়োজনে গুলি’

প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সেনারা জীবন বিপন্ন মনে করলে গুলি করতে পারবেন। ভেনেজুয়েলায় এরকম একটি আইন জারি করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2015, 08:12 AM
Updated : 31 Jan 2015, 08:12 AM

শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদরিনো লোপেজ বলেছেন, ২০১৪ সালে তিন মাসের সহিংস প্রতিবাদের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি জারি করা হয়েছে।

এই আইনের ফলে জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ শক্তি অর্থাৎ প্রয়োজনে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হল।

বিবিসি বলছে, আইনটির সমালোচনা করে একে “ভয়ঙ্কর রকম অস্পষ্ট” বলে উল্লেখ করেছে দেশটির নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো।

মন্ত্রী লোপেজ বলেছেন, জনতার প্রতিবাদ মোকাবেলায় সেনাদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন ঘটাতেই আইনটি জারি করা হয়েছে।

“মানবাধিকার, জীবন ও প্রতিবাদকারীদের প্রতি ব্যাপক দায়িত্ববোধ থেকে” আইনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

ভেনেজুয়েলার ন্যায়পাল তারিক উইলিয়ামস সাব বলেছেন, “মানবাধিকার রক্ষায় ও প্রতিবাদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে শক্তি ব্যবহারের বিষয়টি নির্দিষ্ট স্তরে ভাগ করে আইনটিতে খুব পরিষ্কার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”

তবে দেশটির নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো আইনটির সমালোচনা করেছে।

ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের মারসেলা ম্যাসপেরো বলেছেন, “আইনটি শ্রমিক শ্রেণীর জন্য একটি সোজাসাপ্টা হুমকি।”

“কয়েক বছরে দেশের সামাজিক প্রতিবাদগুলোতে মূলত শ্রমিকরাই অংশ গ্রহণ করেছে,” বলেছেন তিনি।

শ্রমিকদের কল্যাণে নিয়োজিত বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘নাগরিক নিয়ন্ত্রণ’র রোসিও সান মিগুয়েল বলেছেন, সেনারা কীভাবে আচরণ করবেন তা নিয়ন্ত্রণ করা ঠিক আছে কিন্তু নতুন আইনটি “ভয়াবহ রকম অস্পষ্ট ও পরস্পরবিরোধী”।

২০১৪ সালে ভেনেজুয়েলার বেশ কয়েকটি শহরে তিনমাসব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীসহ অন্ততপক্ষে ৪০ জন প্রাণ হারিয়ে ছিলেন।
ওই আন্দোলনের বর্ষপূর্তির কয়েকদিন আগে নতুন এই আইনটি জারি করা হল।