তদের প্রকাশিত বিবৃতির বরাত দিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ওই অস্ত্র বিশেষজ্ঞের নাম আবু মালিক ও তিনি “রাসায়নিক অস্ত্রের সামর্থ্য গড়ে তোলার জন্য” আইএস জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিলেন।
মালিক সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের আমলে রাসায়নিক অস্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন।
সাদ্দামের পতন ও ফাঁসির পর তিনি ইরাকি আল কায়েদায় যোগ দেন, পরে আইএস’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি ইরাকের মসুল শহরের কাছে এক বিমান হামলায় মালিক নিহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে আইএস’র রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবহার করার সামর্থ্য দুর্বল হয়ে যাবে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
অগাস্ট থেকে আইএস’র লক্ষ্যস্থলগুলোতে এ পর্যন্ত প্রায় ২,০০০ বার বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট।
আইএস ক্লোরিন গ্যাস হামলা চালিয়েছে, এমন বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন পাওয়া গেলেও জঙ্গিগোষ্ঠীটি বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের উল্লেখযোগ্য কোনো মজুদ গড়ে তুলেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২০১৪ সালে বাগদাদের উত্তরে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ইরাকি পুলিশ কর্মকর্তারা অস্থিরতা ও বমিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জঙ্গিদের ক্লোরিন গ্যাস হামলার কারণেই এমনটি হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
নিঃশ্বাসের সঙ্গে বেশি মাত্রায় নেয়া হলে ক্লোরিন গ্যাসে ফুসফুস পুড়ে যায়, তবে এটি নার্ভ গ্যাসের মতো ভয়াবহ নয়।