‘এয়ার এশিয়ার বিমান চালাচ্ছিলেন কো-পাইলট’

ডিসেম্বরে ১৬২ জন আরোহীসহ জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার এশিয়ার বিমানটি ফরাসি কো-পাইলট চালাচ্ছিলেন।

>>রয়টার্স
Published : 29 Jan 2015, 08:52 AM
Updated : 29 Jan 2015, 08:52 AM

বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি’র (এনটিএসসি) প্রধান তদন্তকারী মার্দযোনে সিসবোসুয়ার্নো এই তথ্য জানিয়েছেন।

উদ্ধার করা ব্ল্যাকবক্স ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার থেকে তদন্তকারীরা শেষ মুহূর্তে এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটটির কী হয়েছিল তার “সন্তোষজনক পরিষ্কার ছবি” পেলেও বিস্তারিত জানাননি।

সিসবোসুয়ার্নো বলেছেন, “সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, যাকে কো-পাইলট বলা হয়, যিনি সাধারণত ককপিটের ডানদিকে বসেন, ওই সময় বিমানটি চালাচ্ছিলেন। বামদিকে বসে বিমানের ক্যাপ্টেন পাইলটকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন।”

বিমানটি যখন উপরে উঠতে শুরু করে হঠাৎ আবার নিচের দিকে নামতে থাকে তখন ৫৩ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন ইরিয়ান্তো কো-পাইলট ফরাসি নাগরিক রেমি প্লেসেল’র কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ককপিটের ভয়েস ও ফ্লা্ইট ডাটা রেকর্ডারের তথ্য থেকে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার আগে বিমানটি স্থির উচ্চতায় সর্বোচ্চ গতিবেগ থেকে কিছুটা কম গতিতে চলছিল।

বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার সময় বিমানটি ভালো অবস্থায় ছিল এবং এর ক্রু সদস্যদেরও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

সিসবোসুয়ার্নো বলেছেন, “দুর্ঘটনার আগে বিমানটি এর ওজন ও ভারসাম্যের সাম্যাবস্থার মধ্যেই ছিল। এর ফ্লাইট ক্রুদের বৈধ ছাড়পত্র ও মেডিকেল সার্টিফিকেটও ছিল।”

২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার সময় ৪০ মিনিট পথ অতিক্রম করার পরই এয়ার এশিয়ার বিমানটি দুর্ঘটনার পড়ে। দুর্ঘটনায় বিমানটির ১৬২ জন আরোহীর সবাই মারা যান। এদের মধ্যে মাত্র ৭০ জনের লাশ এ পর্যন্ত উদ্ধার করা গেছে।

বাকিদের লাশ বিমানটির মূল কাঠোমোর ভিতরে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাভা সাগরের তলদেশের কোথাও থাকা ওই মূল কাঠোমোটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার পর একমাস পেরিয়ে গেলেও দুর্ঘটনার আসল কারণ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।