বুধবার লেবানন সীমান্তে সংঘটিত এ খণ্ডযুদ্ধ দুপক্ষের ২০০৬ সালের লড়াইয়ের পর সবচেয়ে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা।
লেবানন সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি সীমানায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি বহরকে লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে ইসরায়েলি ওই সেনারা নিহত হন। এ হামলায় আরো সাত সেনা আহত হয়েছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল পাল্টা বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করলে স্পেনের ওই শান্তিরক্ষী নিহত হন বলে জাতিসংঘ মুখপাত্র ও স্পেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে নিয়োজিত তাদের একটি বিগ্রেড হামলাটি চালিয়েছে।
১৮ জানুয়ারি দক্ষিণ সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন হিজবুল্লাহ সদস্য ও এক ইরানি জেনারেল নিহত হয়েছিলেন। ওই হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহর হামলার পর ইসরায়েলি নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আজকের হামলার জন্য দায়ীদের পূর্ণ মূল্য দিতে হবে।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী সদস্যদের নিহত হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র আন্দ্রেয়া টেনেনটি। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে জাতিসংঘের ১০,০০০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন আছে।
২০০৬ সালে এই সীমান্তে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ৩৪ দিনব্যাপী লড়াই হয়েছিল। ওই লড়াইয়ে ৫০০ জন লেবাননি ও ১২০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন।
জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ওই লড়াই অবসান হওয়ার পর থেকে ৮০ কিলোমিটারের এই সীমান্তটি অধিকাংশ সময় প্রায় শান্ত ছিল।