রাষ্ট্রী টেলিভিশনে বুধবার জর্দান সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-মোমানি বলেন, “যদি জর্দানের বিমান চালক লেফটেনেন্ট মুয়াথ আল-কাসায়েসবেহকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দেয়া হয় তবে সরকার কারাবন্দি সাজিদা আল-রিশাউইকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত।”
২০০৫ সালে আম্মানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিশাউইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তবে আইএস’র হাতে বন্দি জাপানের নাগরিক কেনজি গোতোর ব্যাপারে কিছু বলেননি আল-মোমানি।
গোতোকে মুক্ত করতে জর্দানের সঙ্গে একত্রে কাজ করার কথা বলেছিল জাপান।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক ভিডিওতে গোতোকে বলতে দেখা যায়, যদি জর্দান সরকার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইরাকের ওই নারী জঙ্গিকে ছেড়ে না দেয় তবে তাদের বিমান চালককে হত্যা করা হবে।
মোমানি বলেন, জর্দান বিমান চালকের মুক্তির বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। ওই বিমান চালক জর্দানের একটি শক্তিশালী আদিবাসী গোষ্ঠী থেকে এসেছেন। হাশেমী রাজতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সমর্থক ওই আদিবাসী গোষ্ঠী।
মঙ্গলবার রাত থেকে কাসায়েবেহের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় একশ মানুষ জর্দানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে জড় হন। তারা আইএস এর দাবি অনুযায়ী আল-রিশাউইকে মুক্তি দেয়ার অনুরোধ জানান।
ডিসেম্বরে সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে বোমা হামলায় অংশ নেয়ার সময় কাসায়েবেহের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিনি আইএস এর হাতে বন্দি হন।