একইসঙ্গে ইউক্রেইন সরকারই যুদ্ধের উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। সম্প্রতি রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীরা ইউক্রেইনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। নেটোর অভিযোগ, রাশিয়ার সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের সাহায্য করেছে।
রাশিয়াকে ইউক্রেইনের বিষয়ে নাক গলানো থেকে বিরত রাখতে ওয়াশিংটন নানা ধরনের বিকল্প পন্থা ভেবে দেখছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওদিকে, যুদ্ধে রাশিয়া কোনোভাবে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে মস্কো। বরং ইউক্রেইনে সংঘর্ষ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ‘ক্রমাগত’ মস্কোর দিকে ‘আঙুল তুলছে’ বলে অভিযোগ করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
তার অভিযোগ, পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল তা প্রমাণের জন্য এখন তারা রাশিয়া-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও একই অভিযোগ করে বলেছেন, “শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানে যারা আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাদের ওপর চাপ না বাড়িয়ে রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে ব্ল্যাকমেইল করার বিষয়টি নিয়েই আমরা উত্তরোত্তর আলোচনা দেখতে পাচ্ছি।”
অন্যদিকে, এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, “আমরা শান্তি আলোচনা ভন্ডুল করার চেষ্টা দেখতে পাচ্ছি। দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলে বার বার সেনাবাহিনী পাঠিয়ে চাপ প্রয়োগ করে কিয়েভ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। এই চেষ্টা কোন কাজে আসবে না।”
ইউক্রেইন নিয়ে আলোচনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার তাদের সদস্যভুক্ত ২৮টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছে।
বৈঠকের ব্যাপারে ল্যাভরভ বলেন, “আমরা আশা করছি পশ্চিমা মিত্ররা এমন কিছু করবে না যাতে কিয়েভ কর্তৃপক্ষের মনে হয় তারা যাই করুক না কেন তা পশ্চিমা সমর্থন লাভ করবে।”
ইউক্রেইনে বিদ্রোহীদের বিষয়ে ল্যাভরভ বলেন, যদি কেউ ভাবে ইউক্রেইন সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণের জবাব না দিয়ে বিদ্রোহীরা চুপচাপ থাকবে তবে তা বোকামি হবে।
“ইউক্রেইনের সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্র দিয়ে জনবহুল এলাকায় গোলা বর্ষণ করছে। ওই সব স্থান থেকে তাদের সরিয়ে দিতেই বিদ্রোহীরাও জবাব দেয়া শুরু করে।”